আজ বাংলা বনধ! চলছে না বাস, ছাড় রেল পরিষেবায়

ভোর ৬ টা থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাজ্য সড়কেরও একই হাল। সাত সকালে গুরুত্ব পূর্ণ হাইওয়েগুলি অবরুদ্ধ পড়ায় এই ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি চরমে উঠেছে যাত্রীদের।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
Breaking News


নিজস্ব সংবাদদাতা : ৮ জুন ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল  ২৫টি আদিবাসী সংগঠনের মিলিত মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশান। সেই মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পালিত হচ্ছে বনধ। মূলত, সিআরআই রিপোর্টের পরিবর্তন ঘটিয়ে  রাজ্যের বিরুদ্ধে অ-আদিবাসীদের আদিবাসীর স্বীকৃতি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডাক দেওয়া হয়েছিল বনধের। সকাল থেকেই শুনসান রাস্তাঘাট। বনধ পালিত হচ্ছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ আদিবাসী অধ্যুসিত এলাকাগুলিতে। ধর্মঘট সমর্থনকারীরা বাস চলাচলে বাধা দিলেও ছাড় দিয়েছে রেল পরিষেবায়। এছাড়াও জরুরী পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্স, দুধের গাড়ি যাতায়াতে ছাড় মিলেছে।  

এদিন সকাল থেকে বালুরঘাটে চলাচল করছে না কোনো বেসরকারি বাস। হিলি মোড়, থানা মোড়ে শুরু পিকেটিং। অশান্তি এড়াতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। বাঁকুড়ায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে পথ অবরোধ করে অ-আদিবাসীদের আদিবাসীর স্বীকৃতি প্রদানের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ। ভোর ৬ টা থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাজ্য সড়কেরও একই হাল। সাত সকালে গুরুত্ব পূর্ণ হাইওয়েগুলি অবরুদ্ধ পড়ায় এই ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি চরমে উঠেছে যাত্রীদের। গাড়ি আটকে পড়েছে অবরোধের জেরে। তার ভিতরে আটকে পড়েছে মানুষও। দরদর করে ঝরছে ঘাম। চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বর্ধমানের কাটোয়ায় আংশিক প্রভাব পড়েছে বনধের। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পশ্চিম মদিনীপুরের ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে সরকারি বাসের পথ আটকে চলছে ধর্মঘট পালন। বাসটি বর্ধমানে যাচ্ছিল।  বাস আটকে দেওয়ায় যাত্রীরাও কার্য়ত বন্দি হয়ে পড়েছেন বাসে। ভোগান্তির ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডেও। সব মিলিয়ে ১২ ঘন্টার বনধের শুরুতেই ধরা পড়ছে ভোগান্তির ছবি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো বড় অশান্তির চিত্র উঠে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।