দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : শিলাবতী নদীর পাড়ে বাঁশ মজুত রেখে বছরের পর বছর ধরে চলছিল দেদার ব্যবসা।আর এতেই ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের, বর্ষা আসলে যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে যেতে পারে,আতঙ্কে এলাকার মানুষজন।বাঁশ ব্যবসা বন্ধ করতে প্রতিবাদ গ্রামবাসীর।ঘটনায় বাঁশ ব্যবসায়ীর সাথে লেগে যায় গন্ডগোল,দেখা দেয় তুমুল উত্তেজনা।খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কুশপাতা হরিজনপল্লী এলাকায়।
এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, শেখ হোসেন আলী নামে এক বাঁশ ব্যবসায়ী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শিলাবতী নদীর পাড়ে বাঁশ মজুত করে বাঁশ বিক্রি ব্যবসা করছে।কয়েক বছর আগে গ্রামবাসীরা অনুমতি দিলেও বর্তমানে নদীর পাড়ে দেখা দিচ্ছে ধস আর এতেই আপত্তি গ্রামের মানুষজনদের।তারা ওই বাঁশ ব্যবসায়ীকে বাধা দিলেও ব্যবসায়ী জোরপূর্বক ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীর সাথে বাঁধে তুমুল ঝামেলা।যদিও ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বাঁশ রাখার জন্য গ্রামের মানুষজনরা তার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে।শিলাবতী নদীর পাড় সেচ দপ্তরের অধীন, তবে প্রশাসনের কোন বৈধ অনুমতি নেই নদী পাড়ে বাঁশ ব্যবসা করা নিয়ে। প্রশাসন বা সেচ দপ্তরের অগোচরে কিভাবে বছরের পর বছর ধরে নদী পাড়ে বাঁশ ব্যবসা চলে আসছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।তবে অনুমতি নেই সেচ দপ্তরের তা মেনে নিয়েছেন ঘাটালের সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।আজ সকাল থেকে বাঁশ ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে এলাকায়।ঘটনাস্থলে ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর এইভাবে শিলাবতী নদীর পাড় বরাবর বাঁশের ব্যবসা করা একেবারেই বেআইনি।