নিজস্ব সংবাদদাতা: বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির নীরব পরিবেশে, এই বছরের দশমী উৎসবের সময় ঐতিহ্য থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি দেখা গেছে। বহু বছর ধরে চলে আসা রীতিনীতি মেনে চললেও রাজ পরিবার একটি নতুন রীতি প্রবর্তন করেছে। নির্জন প্রক্রিয়া, যেখানে দেবী উমা কৈলাশে ফিরে যাওয়ার সময় সম্মান প্রদর্শন স্বরূপ আকাশে গুলি ছোড়ার ঐতিহ্য, সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে। রাজ পরিবারের সদস্যরা এই পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেছেন, যা উৎসব পালনের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা এবং আধুনিক সংবেদনশীলতার একটি অনন্য মিশ্রণের ইঙ্গিত দেয়।
এই মর্মান্তিক দিনে, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির বাতাসে দুঃখ ও আনন্দের মিশ্রণ ছিল, দশমীর মিষ্টি-কটু প্রকৃতি প্রতিফলিত হচ্ছিল। রাজ পরিবার ঐতিহ্যবাহী বিদায় জানানোর মাধ্যমে দেবীকে পান্তা ভাত, কচু শাক এবং বিভিন্ন ধরণের মাছের খাবার দিয়েছে, তাদের ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শন করেছে। এর পর, রাজবাড়ির মহিলারা সিন্দুর খেলা শুরু করেছেন, যা সিন্দুর মেখে, নারীর শক্তি ও বন্ধনের প্রতীক। এই অনুষ্ঠান, উৎসবের মূল চেতনায় গভীরভাবে প্রোথিত, ক্রমবর্ধমান ভিড়কে আকর্ষণ করে, দিনের সম্প্রীতি এবং সজীব উদযাপনের মঞ্চ তৈরি করে।
উৎসব চলতে থাকায়, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির আঙ্গিনা আনন্দ ও একতার দৃশ্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সিন্দুর খেলার শুরুতে সমাবেশ বৃদ্ধি পায়, পরিবেশে ভক্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গীত ও নৃত্যের শুরুতে এটি আরও উন্নত হয়, যা একটি বিশাল শোভাযাত্রায় পরিণত হয়। তারপর, দেবী উমার মূর্তি রাজবাড়ির নট মন্দিরের কাছে থাকা পুকুরে ঐতিহ্যগতভাবে নিমজ্জিত করা হয়, যা তাঁর ফিরে যাওয়ার যাত্রার প্রতীক, এর পরে উপস্থিতদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এই ঘটনাগুলির ক্রম দিনের আবেগগত ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের একটি স্পষ্ট ছবি তুলে ধরে।
বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির ঐতিহ্য, বিশেষ করে দশমীর সময়, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং রাজ পরিবারের এটিকে সংরক্ষণ করার प्रतिज्ञার প্রমাণ। এই বছর ঐতিহ্যবাহী অনুশীলন থেকে সামান্য বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও, উৎসবের সারমর্ম - ভক্তি, আনন্দ এবং সম্প্রীতি সমাবেশের দ্বারা চিহ্নিত - অক্ষত রয়েছে। বহু বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্য মেনে চলা এবং পরিবর্তন করার সচেতনতার অনন্য মিশ্রণ সাংস্কৃতিক উদযাপনের প্রতি একটি অগ্রগামী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন করে, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য তাদের প্রাসঙ্গিকতা এবং অনুরণন নিশ্চিত করে।