হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : একটু বৃষ্টিতেই বেহাল দশা রাস্তার। রাস্তা আকার নিচ্ছে পুকুরের। আর বেহাল রাস্তার জেরে অতিষ্ঠ পাণ্ডবেশ্বরবাসী। পাশাপাশি রাস্তার মর্মান্তিক অবস্থার জন্য নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। যদিও কোনও প্রাণহানি হয়নি এখনো পর্যন্ত। তবে যে কোনো সময়ে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে রাস্তায়। বৃষ্টি হলেই রাস্তা রূপ নিচ্ছে মরণ ফাঁদের। চিত্রটি পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন থেকে ফুলবাগান মোড় পর্যন্ত রাস্তার। রাস্তায় যাতায়াতকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাত্রীরাও আতঙ্কে পারাপার করছেন রাস্তা। এমনটাই অভিযোগ। রাস্তা সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। কেননা যখন তখন রাস্তার গর্তে উল্টে যাচ্ছে টোটো-মোটরবাইক। দোকান ছেড়ে মানবিকতার খাতিরে তাদেরকেই হাত লাগাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা গ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হচ্ছে। আর বেহার রাস্তার দরুণ ব্যবস্যারও ক্ষতি হচ্ছে তাদের, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। আর একই কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে পাণ্ডবেশ্বর এর প্রধান রাস্তার উপর। পাণ্ডবেশ্বর এর ব্যবসায়ী রোহন শর্মা জানান, ''দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বেহাল। আর একটু বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। রাস্তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।'' তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। হুঁশ নেই প্রশাসন তথা পঞ্চায়েতের। অরুণ বাবু জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটা টোটো উল্টে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। যদিও কোন প্রাণহানি হয়নি। শুক্রবার সকালেও একটা টোটো বাজারে ফল ব্যবসায়ীর কাছে ফল নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তা জলে পরিপূর্ণ, বড় খানাখন্দে ভর্তি। বুঝতে না পেরে রাস্তায় উল্টে যায় ফল বোঝাই টোটোটি। তারা এই কোনক্রমে টোটোটিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে রাস্তার পাশে সরাতে সাহায্য করেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পাণ্ডবেশ্বর এর তৃণমূল নেতা তথা পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রা অঞ্চলের তৃণমূলের কেন্দ্র অঞ্চল সভাপতি যমুনা ধীবর জানান, পাণ্ডবেশ্বর রেল স্টেশন থেকে ফুলবাগান মোড়ের আগে পর্যন্ত রাস্তাটি রেলের অধীনস্ত। তিনি বলেন, তারা অবগত আছেন এই রাস্তাটির অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। তবে যেহেতু রাস্তাটি রেলের অধীনস্ত, তাই পঞ্চায়েত বা রাজ্য সরকার ইচ্ছা করলেও কিছু করতে পারে না। তিনি জানান, রাস্তা সম্পর্কে ওদেরকে বারবার জানানো হয়েছে কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রয়োজনে মানুষের স্বার্থে রাস্তা সারাইয়ের সঠিক উপায় বের করার পরিকল্পনা চলছে।