নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ও জিআরপির থানার তৎপরতায় উদ্ধার হলো চুরি যাওয়া ছোট্ট শিশু কন্যা। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ই সেপ্টেম্বর শনিবার, ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে এক শিশু কন্যা চুরি হয়ে যায়। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সেই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানায়। তৎক্ষণাৎ জিআরপি থানার ওসি স্টেশনে থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন। সিসিটিভি থেকেই সেই শিশু কন্যাসহ এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত।
এক মহিলার সূত্র ধরে হাওড়া জেলার সরপুরা থানার শর্বেশ্বরপুরে সেই শিশুকন্যার খোঁজ মেলে। এরপরেই তড়িঘড়ি জিআরপি থানার ওসি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে আনে ওই শিশুকন্যাকে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় দুই মহিলাসহ শিশু পাচারকারী সঞ্জয় খামরুইকে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঝাড়গ্রামের পিড়াশুল এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ওই শিশুকন্যাকে ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার ' মিডিলম্যান ' রেনুকা দাসকে দিয়ে সোমারুই দাস ওই শিশুকন্যাটিকে বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, ধৃত সঞ্জয় এর পূর্বেও এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন চুরির ঘটনায় জড়িত আছে সঞ্জয়।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনায় পুলিশ ধৃত তিনজনকেই গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে পেশ করেন। এর পাশাপাশি তদন্ত করার জন্য ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছে জিআরপি থানা।
শুক্রবার জিআরপি থানার এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, " স্বামী স্ত্রী ও শিশুকন্যা ঝাড়গ্রাম স্টেশনে থাকতেন। স্বামী দিনমজুরের কাজ করতেন ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। সেখান থেকেই ওই শিশুকন্যা চুরি হয়ে যায়। আমরা তদন্তে নামি এবং জানতে পারি এক মহিলার দীর্ঘদিন বাচ্চা না হওয়ায় ওই মহিলাকে এই শিশুকন্যাটিকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তদন্তে নেমে শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করি, এবং তাকে মা বাবার কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এই আবহে শিশুকন্যার মা ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ও জিআরপি থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।