নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ ফের আয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ মেদিনীপুর হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে। নানাভাবে প্রসূতির পরিজনদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করছে বলে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল হাসপাতাল সুপারের কাছে। যদিও এর আগে আয়াদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকে আয়াদের দৌরাত্ম্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে। প্রসবের পর বাচ্চার মুখ দেখতে আয়াদের দিতে হয় মোটা টাকা। টাকা না দিলে মুখ দেখতে দেওয়া হয় না, এমন অভিযোগ একাধিক প্রসূতির পরিবারের। টাকা দিতে না চাইলে তর্ক-বিতর্ক চলে হাসপাতালের ভেতরে। হাসপাতালে উপস্থিত সিকিউরিটি, নার্স সহ সকলে চুপ থাকেন বলেও অভিযোগ। একাধিক প্রসূতির পরিবার এই পুরো ঘটনার লিখিত অভিযোগ জমা দিলেন হাসপাতাল সুপারের কাছে। এরপর হাসপাতালের চিত্র আদৌ কী বদলাবে? নাকি যেমন চলছে সেই ভাবেই চলবে?
উল্লেখ্য গত বছর মেদিনীপুর হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি বলেছিলেন, "আয়ারা সরকারি কর্মী না, সরকার এদের অনুমোদন করে না৷ অনেকেই রোগীর বাড়ির আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দিয়ে আয়ার কাজ করছে। এক একজন আয়া তিন চারজন রোগীর খেপ খাটেন। কোনওভাবেই খেপ খাটা চলবে না। ওয়ার্ডে নার্সদের কথা অনুযায়ী তাদের চলতে হবে৷" তারপরও কার মদতে মাতৃমা বিভাগে চলছে আয়াদের দৌরাত্ম্য? যদিও প্রসূতির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবই জানেন, না হলে এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে তারপরেও চিত্র বদলায়নি কেন?