নিজস্ব সংবাদদাতা: আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টায় উত্তেজনা। দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। নামালো হল RAF। ঘটনাস্থলে OC ও SDPO।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার রামদাসপুর এলাকায় আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টায় বুধবার বিকেলে দফায় দফায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ মূল অভিযুক্ত সুরজিৎ পাত্র ও মোহন মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে। আদিবাসী সংগঠনের তরফে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। রীতিমতো লাঠি নিয়ে এক অভিযুক্তের বাড়ির দিকে তেড়ে যান আদিবাসী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। উত্তেজনা সামাল দিতে নামানো হয় RAF। পুলিশের সঙ্গে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যদের ধস্তাধস্তি হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঘাটাল মহকুমা পুলিশ অধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখার্জি। উল্লেখ্য,বন্ধুর বাড়িতে এসে বন্ধুকে প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে বেহুশ করে,বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম সুরজিৎ পাত্র। বাড়ি দাসপুরের সামাট এলাকায়। মূল ঘটনাটি ঘটে দাসপুর থানার রামদাসপুর গ্রামে। জানা যায়,২৩ ডিসেম্বর রাতে রামদাসপুর গ্রামের এক গৃহবধূর স্বামীকে তাদের বাড়িতেই তার বন্ধু মদ খাইয়ে বেহুশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। যদিও ওই মহিলার চিৎকার চেঁচামিতে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা,স্থানীয় মানুষজন ওই যুবককে পাকড়াও করলেও পালিয়ে যায় ওই যুবক। দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ করা হচ্ছে,এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যে।ম হিলার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে মুল অভিযুক্ত এখনও অধরা থাকায় আজ বিকেল নাগাদ আদিবাসী সংগঠনের নেতা কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের গ্রামে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হাজির হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।তবে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ।