নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার পার্টি অফিসের সামনেই তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। তারকেশ্বরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই হামলা বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূলের ওই নেতাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
তারকেশ্বরে পার্টি অফিসের সামনেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সইফুল মোল্লার ওপর হামলা চালায় দলেরই চার সদস্য। তৃণমূলের উপপ্রধানের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের প্রশ্রয়ে তাঁর অনুগামীরা সরকারি একটা জায়গা দখল করে রেখেছেন। সেই জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই রবিবার পিয়াসারা বাজারে পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই সময় বিধায়কের অনুগামীরা সইদুল মোল্লার ওপর এলোপাথাড়ি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, তৃণমূলের হাতেই দলেরই পঞ্চায়েতের এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। জানা যায়, রবিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ আইমা মল পাহারপুরের তৃণমূল সদস্য সইদুল মোল্লা একটি চা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের চার জন কর্মী মোটরবাইকে এসে তাঁর ওপর চড়াও হয়। তাঁর ওপর হামলা করে। তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। পুলিশের ভ্যান দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ দেখে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত নেতাকে প্রথমে ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই মহম্মদ সিকান্দার নামের এক তৃণমূলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে মুন্সি আজিজুলের নাম এফআইআরে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূলের তিন নেতা ও কর্মী খুন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে জয়নগরের তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়। তিনি ভোরে নামাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরপরে আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধানকে বোমা মেরে খুন করা হয়। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় তৃণমূলের প্রভাবশালী কর্মীকে জগদ্দলে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁকে হত্যা করতে বিহার থেকে ভাড়াটে খুনি আনা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ভাড়াটে গুণ্ডাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।