নিয়োগের শুরুতেই ঝাড়গ্রামের হবু প্রাথমিক শিক্ষকেরা সমস্যার সম্মুখীন

অবসান ঘটলো দীর্ঘ সাত বছরের প্রতীক্ষার। ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা ২০২৪ এসে প্রাথমিকে নিয়োগ পত্র পেলেন। ঝাড়গ্রামেও শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। তবে অনেকের অভিযোগ শিক্ষা সংসদের অফিসে পর্যাপ্ত লোক না থাকার ফলে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পরছেন হবু শিক্ষকেরা।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update
jhargram.png

নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ সাত বছরের  প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। ২০১৭-এর টেট প্রার্থীরা ২০২৪ এসে প্রাথমিকের নিয়োগ পত্র পেলেন। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়গ্রামেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ পরিক্ষার্থীদের নিয়ে এই কাউন্সিলিং পর্ব শুরু হয়েছে।জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষা সংসদের অফিসে পর্যাপ্ত লোক না থাকার ফলে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পরছেন হবু শিক্ষকেরা। শুধু তাই নয় লিস্ট পেতেও দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। হবু শিক্ষকদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন বলেন, অন্যান্য জায়গায় যেমন ডিসপ্লে দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়গ্রামে সেটা নেই। অন্যান্য জায়গায় ডিসপ্লে দেওয়ার ফলে কোন জায়গায় আমরা শিক্ষকতা করব তা চিন্তা করতে অনেক সহজ হচ্ছে এখানে না থাকার ফলে জটিলতা বাড়ছে। কাউন্সিলিং এ আসা অন্তঃসত্ত্বা সবিতা পাত্র জানালেন, আমার এই অবস্থাতে দূরে কোথাও গিয়ে চাকরি করতে যাওয়া সম্ভব নয় যদি কাছাকাছি কোথাও পেতাম ভালো হতো। কিন্তু কোনও লিস্ট হয়নি। যার জন্য আমার কোনটা কাছে হবে  তা কিন্তু জানতে পারছি না।  আর কাছাকাছি সিট কোনটা সেটাও জানতে পারছি না সমস্যা যে হচ্ছে তার স্বীকার করে নিলেন। প্রশান্ত বাবু বলেন, অন্য কোন সমস্যা নেই কর্মী সংখ্যা কম আছে তাই বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে। যেমন টাইপ করা থেকে কাউন্সেলিং আরও  দ্রুত হত। নতুন পর্ষদ পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। যদিও এই সমস্যাগুলোর কথা মানতে নারাজ পরিষদ সভাপতি জয়দীপ হোতা । তিনি বলেন, "সবকিছু স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে। আমাদের জেলায় যেসব প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নেই বা কোথাও একজন আছে সেই সব স্কুলকেই  প্রাধান্য দিয়ে আমরা লিস্ট বানাচ্ছি এবং তা টাঙিয়ে দিয়েছি, সেই লিস্ট থেকে ক্যান্ডিডেটরা তাদের স্থান নির্বাচন করবে এখানে কোন বি ডি এম এর প্রশ্নই আসে না।"