নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: মা ও শিশুদের যত্ন নেওয়াই হল আশা কর্মীদের কাজ। কিন্তু তার বাইরে পরীক্ষার ডিউটি, খেলা, মেলা, দুয়ারে সরকার, ভোট নানা রকম কাজে তাদের যুক্ত করা হয়। অথচ তার পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় কাজে গিয়ে তাদের হেনস্থাও হতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ আশা কর্মীদের। সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি, বেতন বৃদ্ধি, নিরাপত্তাসহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে রবিবার পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে।
মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে সহস্রাধিক আশা কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য নেত্রী সুস্মিতা মাহাত, জেলা সম্পাদিকা পাপিয়া অধিকারী, শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র পূর্ণ বেরাসহ অন্যান্য নেতৃত্ব। আশা কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা বঞ্চনার শিকার। রাজ্য জুড়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন কাজ করানো হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় আশা কর্মীরা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা ও প্রসব-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না, স্থায়ীকরণও হচ্ছে না।
সুস্মিতা মাহাত বলেন, "রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আশা কর্মীদের বঞ্চনা করছে। ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করলেও সরকারি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বেতনও বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা দাবি করেছি সরকারি কর্মচারীর স্বীকৃতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনুযায়ী ২৬ হাজার টাকা বেতন, পিএফ ও গ্র্যাচুইটি প্রদান, ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা পেনশন। আশা কর্মীদের নানান দাবিতে সারা বছর ধরে আমরা লাগাতার আন্দোলন করে আসছি। সারা রাজ্যের সাথে এ জেলারও আশা কর্মীদের সংগঠিত আন্দোলন সম্প্রতি দাবি আদায়ের ঐতিহাসিক আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকার সাক্ষ্য রাখে"। সম্মেলন থেকে পাপিয়া অধিকারীকে সভানেত্রী, শিপ্রা ঘোষালকে সম্পাদিকা ঘোষণা করে ৪২ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।
পাশাপাশি পৌর স্বাস্থ্য কর্মীদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি, বেতন বৃদ্ধি, ১০০০ জনসংখ্যায় একজন কর্মীকে কাজ দেওয়া, পেনশন, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ একাধিক দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্য কর্মী (কন্ট্রাকচুয়াল) ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর শহরের রেডক্রস সোসাইটি হলে রবিবার। উপস্থিত ছিলেন, রুনা পুরকায়েত, মাম্পি দাস বিশ্বাস, অনুরুপা দাস নমিতা পালসহ অন্যান্য নেতৃত্ব।