নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত সরকার আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাসে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ব্যাপক ক্ষতি করে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান, যার মধ্যে অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর প্রতি ত্রাণ সরবরাহ করা রয়েছে।
সরকার অবিলম্বে ত্রাণের জন্য ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। এই তহবিল রাজ্যগুলির পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ছিল। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মৃতের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০,০০০ টাকা এক্স-গ্রেটিয়া ঘোষণা করেন।
বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে। সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য রাস্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা মেরামত করা হচ্ছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এই কাজে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবাস্তদের জন্য ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। এই শিবিরগুলিতে খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এনজিও-ও প্রয়োজনীয়দের কাছে ত্রাণ ও সম্পদের সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সরকার দুর্যোগ প্রস্তুতি শক্তিশালী করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো তৈরি এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করা। এই পদক্ষেপগুলি ভবিষ্যতের ঝুঁকি হ্রাস করার এবং সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর লক্ষ্যে।
আম্ফান ঘূর্ণিঝড় দৃঢ় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। সরকারের প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলিকে সমর্থন করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।