'ভাল থাকিস'! মিলল কলেজ পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ! বাংলায় ফের চাঞ্চল্য

একদিকে যেখানে রাজ্য তোলপাড় যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সেখানে অন্যদিকে বাংলায় আরো এক কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটল। তবে এটি সুইসাইড বলেই মনে করা হচ্ছে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
death

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্কুলজীবন থেকে বন্ধুত্ব। বছর দুয়েকের প্রেম। কিন্তু প্রেমিকা অন্য কারুর সঙ্গে প্রেম করছে এই সন্দেহের জেরে আত্মঘাতী কলেজ পড়ুয়া যুবক। পরিবারের এমন দাবিই করছে। এই ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরের। মৃতের দেহের পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি চিরকুট, যাতে লেখা, 'নতুন সম্পর্কে ভাল থাকিস'। 

রানাঘাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন পলাশ শীল। শনিবার সকালে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় পলাশের। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা করেছে এই পড়ুয়া। আর এর নেপথ্যে রয়েছে প্রেমঘটিত ব্যাপার। পরিবারের দাবি, কলেজেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী হয় পলাশের। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ওই সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। পলাশ সন্দেহ করত যে প্রেমিকা অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই নিয়ে ফোনেও তাদের কথা কাটাকাটি হত বলে দাবি করছে পরিবার। 

মৃতের পরিজনেরা জানাচ্ছেন যে কয়েক দিন আগেও হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পলাশ। তবে সেই যাত্রায় সে ব্যর্থ হয়। শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করেনি যুবক। ঘুমোবে বলে নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু শনিবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় পলাশকে দেখতে পান বাবা সমীর শীল। ছেলের দেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট ছিল যেটাকে তিনি ‘সুইসাইড নোট’ বলে দাবি করেন। জানা যায় যে মেয়েটির সঙ্গে স্কুলজীবন থেকে সম্পর্ক ছিল ছেলেটির। কয়েক দিন ধরে ওদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল। মেয়েটি বাড়িতেও গেছে পলাশের। ভালবাসার অভিনয় করে ছেলেটাকে মেরে ফেরার অভিযোগ তুলছে পলাশের পরিবার। যদিও এই নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানাবেন কি না, সেটা জানা যায়নি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের দেহের পাশে মেলা চিরকুটে লেখা রয়েছে, 'নতুন সম্পর্কে ভাল থাকিস। নতুন মানুষ তোকে আগলে রাখবে'। পাশাপাশি মৃতের মোবাইলটিও পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। 

গতকাল আর আজ মিলিয়ে রাজ্য হারাল দুজন কলেজ পড়ুয়াকে। একেবারে তরতাজা দুটো প্রাণ শেষ হয়ে গেল। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে যেখানে তোলপাড় হয়ে রয়েছে বাংলা সেখানে আরো এক মায়ের কোল খালি হওয়া নিয়ে কার্যত ভেঙে পড়ল সাধারণ মানুষ।