নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অন্ডালের খান্দরা এলাকার ডাঙালপাড়ায় রয়েছে ১০৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির দীর্ঘদিন ধরে ভগ্ন দশা। নেই নির্দিষ্ট কোন ক্লাসরুম, নেই স্কুলের বাচ্চাদের মিড ডে মিল ও গর্ভবতী মায়েদের জন্যরান্না করার জায়গা। শুধু ভগবানের ভরসায় চলছে এই শিশু শিক্ষক কেন্দ্রটি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত থেকে বিডিও, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খান্দরার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পাশে রয়েছে একই স্থানীয় ক্লাব ঘর, সেটারও মাথার উপর ছাদ নেই। সেই ঘরেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একই সাথে চলছে শিশুদের পড়াশোনা ও চলছে মিড ডে মিলের রান্নাবান্নাও।
ঘরের দেওয়াল কাঁচা,যে কোন সময় পড়ে গিয়ে ভয়ানক বিপদ ঘটতে পারে। আর বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে এক হাঁটু জল হয়ে যায়। তাই, বৃষ্টি হলেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসে না ছাত্রছাত্রীরা। গঙ্গা বাউড়ি নামে এক অভিভাবক জানান, যেভাবে স্কুলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েদের বসিয়ে রাখা হয় পড়াশোনার জন্য পাশেই হয় রান্নাবান্নার কাজ। ঘর ভরে যায় ধোঁয়ায়। নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।
তার ওপর বর্ষা হলে তো কথাই নেই ঘরের মধ্যে জল ভরে যায় ছাত্রছাত্রীদের বসবার জায়গা থাকে না। তাঁদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো বাড়ির কাঁচা দেওয়াল যেকোনো সময় পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে বিপদ। তিনি জানান বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি কিছুই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই দাবি, সুস্থ ও সুস্থ পরিবেশে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসুক বিপদ মুক্তভাবে।
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মী কনিকা বাদ্যকর জানান, বারবার তাদের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি জানিয়েছেন এই কেন্দ্রটির মেরামতের জন্য কিন্তু উপায় হয়নি কিছুই। তবুও বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই ঘরেই তাদের রান্নাবান্না ও ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার কাজ করতে হচ্ছে। যদিও বর্ষা হলে এই ছেলেমেয়েরা আসে না কারণ স্কুল জ্বলে ভোরে যায়।