পশ্চিম মেদিনীপুর:- ব্যাঙ্কের লোনের কিস্তি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা না করে টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধে! সমস্ত টাকা ফেরতের দাবীতে ব্যাঙ্কে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাল গ্রাহকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ২ ব্লকের ললাটে এক কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে (পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার মুগবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মনিশঙ্কর দাস নামের শ্রীহরি কর্পোরেশন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড ও মা ফাইনান্স প্রাইভেট লিমিটেড এর এক কর্মীকে বেসরকারি চুক্তিতে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের লোনের রিকভারি এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় সাত - আট বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে সেই টাকা আত্মস্যাৎ করেছে অভিযুক্ত মনিশঙ্কর দাস। অবশেষে গ্রাহকদের চাপে পড়ে সমস্ত কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় মনিশঙ্কর। তবে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানতাম না। আজ এলাকাবাসী এসে ব্যাংকে বিক্ষোভ করলে সমস্ত বিষয় আমরা জানতে পারি। আমরা ঘটনার তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে প্রতারিত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে কেউ কেউ গয়না, জমি জায়গা বিক্রি করে ব্যাঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। এখন সেই টাকা আদৌ ফেরত পাবেন কি না তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ গ্রাহকেরা। অবিলম্বে ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ যাতে অভিযুক্ত মণিশঙ্কর দাসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু ক্যামেরা দেখামাত্রই কিছু না বলে মুখ লুকিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাহলে কি এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে মণিশঙ্কর দাস। তা একেবারেই বলাবাহুল্য বললেই চলে। কিন্তু এখন জল কোন দিকে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . .