নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আধুনিকীকরণের পথে এবং ভারত সরকারের নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারতীয় রেল দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সারাদেশে রেলস্টেশনগুলোকে বিশ্বমানের স্থাপনায় রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে।
অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে তিনটি স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের রানি কমলাপতি স্টেশন, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া টার্মিনাল স্টেশন এবং গুজরাটের গান্ধীনগর ক্যাপিটাল স্টেশন। এই স্টেশনগুলো আধুনিক ভারতের একটি দুর্দান্ত চিত্র উপস্থাপন করে। এসব স্টেশনে যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। লিফট ও এসকেলেটর ছাড়াও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কনকোর্স, ওয়েটিং রুম গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের আগমন ও প্রস্থান এবং যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারত সরকার কর্তৃক শুরু হওয়া অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায়, সারা দেশে ১৩০৯ টি রেল স্টেশনকে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পরিকল্পিত সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে অবাঞ্ছিত কাঠামো অপসারণ, উন্নত আলো, আরও ভাল সঞ্চালন এলাকা, আপগ্রেড পার্কিং স্পেস, দিব্যাঙ্গজন বান্ধব অবকাঠামো, সবুজ শক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং।
আগামী রবিবার খড়গপুর বিভাগে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় ঘাটসিলা, জলেশ্বর এবং বারিপদা নামে ০৩টি স্টেশনের পুনর্নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করবেন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যের খড়গপুর বিভাগের মোট ১৭টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মাণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে খড়গপুর ডিভিশনের ১৩টি স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় মনোনীত হয়েছে, যথা আন্দুল, বেলদা, দিঘা, হলদিয়া, হিজলি, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর, মেচেদা, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া, তমলুক, বাগনান ও উলুবেড়িয়া। ওড়িশায় খড়গপুর ডিভিশনের ৩টি স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় মনোনীত হয়েছে, যথা বারিপাড়া, বেতনতি ও জলেশ্বর।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের খড়গপুর বিভাগের ঘাটসিলা স্টেশনটি এবিএসএস-এর অধীনে পুনর্নির্মাণ কাজের জন্য মনোনীত হয়েছে। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, এমএলসি, মুক্তিযোদ্ধা, পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণকে তাদের নিজ নিজ স্টেশনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়ীদের ৬ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে পুরস্কৃত করা হবে।
অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় জলেশ্বর স্টেশনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২২.৯৮ কোটি টাকা, বারিপাড়া স্টেশনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৭.৩৩ কোটি টাকা এবং ঘাটসিলা স্টেশনের জন্য বরাদ্দ ৩০.৫৮ কোটি টাকা।