নবান্ন অভিযানের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা! দায় হবে একমাত্র মমতার? সরব বিজেপি

বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে বিশেষ মন্তব্য করেছেন।

author-image
Probha Rani Das
New Update
amit mal.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত ডিজিপি (সন্দেশখালির সময়) এবং কলকাতার সিপি (আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যা মামলা ধামাচাপা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সন্দেহজনক ভূমিকার জন্য) পুরোপুরি বদনাম হওয়ার পরেপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ডাকা নবান্ন অভিযানের আগে আতঙ্ক ছড়াতে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি ও আইজিপি সুপ্রতিম সরকারকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রচণ্ড চাপের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের শেষ লাইন অর্থাৎ পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিবর্তে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভয়ভীতি ছড়ানো এবং মানুষের প্রতিবাদের অধিকারকে দমন করার জন্য।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে যদি তাদের নিজস্ব সূত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকেতবে তাদের অবশ্যই কোনও বাধা ছাড়াই প্রতিবাদ মিছিল নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা তাদের দায়িত্ব।কিন্তু তারা অযোগ্য ভাঁড়যারা ক্ষমতাসীন তৃণমূলের দোরগোড়ার কাজ করতে পছন্দ করে।

১৪-১৫ অগস্টের মধ্যবর্তী রাতে আরজি কর এমসিএইচে চিকিৎসকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বেলগাছিয়া থেকে তৃণমূলের লুঙ্গি বাহিনী যখন ভাঙচুর চালায় তখন তারা দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রথমেই যা করা উচিততা হল তৃণমূলের সমস্ত সাংসদ বিধায়ক কাউন্সিলর এবং সিভিক পুলিশের ছদ্মবেশে থাকা অপরাধীদের প্রতিরোধমূলক আটকে রাখা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এঁরাই সবচেয়ে বেশি হিংসা ও ভয়ভীতির আশ্রয় নেন। কাজ করার সময় এখনই।এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হোক – আগামীকাল নবান্ন অভিযানের সময় যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই বহন করবেন।”