অ্যাম্বুলেন্স গায়েব ! মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গুত্রুতর অভিযোগ।

author-image
Adrita
New Update
স

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ আদিবাসী অধ্যুষিত মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুলেন্স গায়েবের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সাংসদ ড. মমতাজ সংহমিতা তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছিলেন, যা এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বরাদ্দ ছিল। কিন্তু কয়েক বছর পরিষেবা দেওয়ার পর হঠাৎই সেই অ্যাম্বুলেন্সটি আর দেখা যাচ্ছে না।

এলাকার যুবক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পেছনের একটি গোডাউনে বন্দী। তিনি জানিয়েছেন, “এই অ্যাম্বুলেন্সটি মুমূর্ষ রোগীদের সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ছিল। কিন্তু এখন সেই অ্যাম্বুলেন্স কোথায় আছে কেউ বলতে পারছে না। অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, তবু পঞ্চায়েত কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।”

তবে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “অর্থের অভাবে এবং চালকের সংকটের কারণে আপাতত অ্যাম্বুলেন্স চালানো যাচ্ছে না। তবে দ্রুত পরিষেবা পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে।”

বিরোধী পক্ষও এই ঘটনাকে নিয়ে সরব হয়েছে। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, “সরকার এবং পঞ্চায়েতের নজর কাটমানিতে, সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার সময় নেই। এই সরকার না থাকলে তবেই মানুষের শান্তি আসবে।”

মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাকুমনি সোরেন বলেছেন, “বোর্ড গঠন করার পর থেকেই শুনছি যে পঞ্চায়েতে একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল, তবে তা চোখে দেখিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।