আমাজনের পতঙ্গভুক উদ্ভিদের দেখা পশ্চিম মেদিনীপুরে

আমাজনের পতঙ্গ।

author-image
Adrita
New Update
দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলেও দেখা মিলল পতঙ্গভুক উদ্ভিদের। ওই উদ্ভিদের নাম 'সূর্য শিশির'। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম 'ড্রসেরা'। দক্ষিণ আফ্রিকার আমাজনের জঙ্গলে এদের বিস্তার থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে এদের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া ও চন্দ্রকোণা রেঞ্জের জঙ্গলেও দেখা গিয়েছে। শুষ্ক এবং যে মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা অত্যন্ত কম, সেখানেই এদের বাড়বাড়ন্ত। এই গাছের চারিদিকে বেশ কিছু শুঁড়ের মতো অংশ থাকে। শুঁড়ের ডগায় শিশুর বিন্দুর মতো আঠা জাতীয় পদার্থ থাকে। আকারে ছোট হলেও লাল রঙের আকর্ষণীয় ফুলের টানে পতঙ্গেরা উদ্ভিদের সংস্পর্শে আসে। তখন শুঁড়ের আঠালো অংশে আটকে যায়। শুঁড়ের মাধ্যমে পতঙ্গের শরীর থেকে নির্যাস সংগ্রহ করে নেয়। 

মেদিনীপুরের সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালে পরিত্যক্ত ইকো পার্কের জলালয়ের পাশে দেখা গিয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি বহু বছর ধরে রয়েছে। মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্র-ছাত্রীরাও তা দেখতে একাধিকবার গিয়েছেন। স্থানীয় যুবক মানস গুচ্ছাইত ও চঞ্চল সিং বলেন, "আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন জীবন বিজ্ঞানে ওই বিষয়টি পড়েছিলাম। পরে স্কুলে নিয়ে গিয়ে স্যারকে দেখিয়েছিলাম। বহু বছর ধরে এখানে রয়েছে।" অন্যদিকে চন্দ্রকোণা রেঞ্জের ধামকুড়িয়ার জঙ্গলেও দেখা গিয়েছে। বনকর্মীরা জঙ্গলে টহলরত অবস্থায় তা দেখতে পান। ওই পতঙ্গভুক উদ্ভিদগুলিকে যাতে কেউ নষ্ট না করে দেয়, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৈকত বিশ্বাস বলেন, " গুড়গুড়িপাল ইকোপার্কের জলাশয়ের পাশে প্রচুর রয়েছে সূর্য শিশির। এগুলি রক্ষা করারও চেষ্টা চলছে। স্থানীয় মানুষজনকেও সচেতন করা হচ্ছে। "