চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, হাসপাতালে পরপর গুলি চালালো রোগীর পরিবার- ঘটনা বাংলারই

পরপর গুলির শব্দে কাঁপলো দুর্গাপুরের হাসপাতাল।

author-image
Aniket
New Update
x

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরপর চললো গুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের উপর হামলা। চরম উত্তেজনা দুর্গাপুরের শোভাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। গ্রেপ্তার চার জন। ধৃতদের নাম তাপস রায়,  অমিত কর্মকার, অনিমেষ পাল, অজিত হাজরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরের বাসুদেব পাল নামের ৫৩ বছরের এক ব্যক্তি একটি পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুদিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বাসুদেব পালের পরিবার পরিজনরা। চিকিৎসকের সাথে দেখা করতে চাইছিল তারা। পুলিশের তরফ থেকে দু-তিন জনকে নিয়ে চিকিৎসকের সাথে দেখা করার কথা জানালেও তারা মানতে চাননি। তারপরেই তাদের মধ্যে থেকে একজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের উপরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

x

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায় বলেন, "চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেই আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স আছে না নেই সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে, কিন্তু দু রাউন্ড গুলি খুঁজে পাওয়া গেছে। আমাদের একজন পুলিশ কর্মচারীর গায়েও হাত দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়েও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে।" হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী বর্ণালী চৌধুরী বলেন, "ওনাদের একজন রোগী ভর্তি রয়েছে। ডাক্তারের সাথে দেখা করার জন্য একজন রোগীর আত্মীয়কে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা সকলে মিলেই হাসপাতালের ভেতর যাওয়ার জন্য জোর করছিল। সেই নিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ঝামেলা হচ্ছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হতে যায় তারা। তারপরেই একজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে শূন্যে ৩ রাউন্ড গুলি চালায়। ওদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আমরাও চরম আতঙ্কে ছিলাম।"