গোয়ালঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা! ভুরি ভুরি অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

মথুরাপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি বেনিয়মের অভিযোগ। দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এক সদস্যকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই তিনি এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
edit abas jogana.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ২৭ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে প্রশাসন। জানানো হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। 

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় কোথাও সুবিধাপ্রাপকের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে গোয়ালঘর। কোথাও আবার কোনও নামই নেই। নাম না থাকলেও তালিকা দেখা গিয়েছে অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লক্ষ লক্ষ টাকা পৌঁছে গিয়েছে। বেনিয়মের অভিযোগে মথুররাপুরের বিডিও ২৭ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ফেরত দেওয়ার নোটিস দিয়েছেন। এমনকী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের শ্বশুরবাড়ির সদস্যের অ্যাকাউন্টেও পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা। 

জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমা সদস্য আরজিনা গাজির শ্বশুর খালেক গাজি। পাকা বাড়ি থাকার পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষাধিক টাকা। নগেন্দ্রপুর গ্রামের এক বাসিন্দা উত্তম দলুই জানিয়েছেন, ছেলে বাইরে থাকে। সেখানে কাজ করে। সেখান থেকেই টাকা পাঠায়। সেই টাকা আমরা খরচ করছি। এখন জানতে পারছি, এটা সরকারি টাকা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আমাদের নাম নেই। 

কীভাবে এই বেনিয়ম সামনে এল। জানা দিয়েছে, তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এক সদস্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতিতে বাধা দেন। সেই সময় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি মথুরাপুরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি সামনে আনেন। প্রশাসন তদন্ত করে ২৭ জনের নামের তালিকা বের করে। যাঁদের অ্যাকাউন্টে বেনিয়মে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঢুকেছে। 

অভিযোগকারী দীপু বর জানিয়েছেন, আমি যতদিন ছিলাম, আমাকে দিয়ে এধরনের কোনও দুর্নীতি করাতে পারেনি। সেই কারণেই আমাকে ওরা সরিয়ে দিল। ওদের মনের মতো লোককে প্রধান করল। আর তার মনের আনন্দে দুর্নীতি করতে শুরু করল। তৃণমূলের দালালরা দরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মস্মাৎ করছে। সেটা হতে পারে না। সেই কারণেই আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। রাজ্যের একটা মাত্র ব্লকে এত অনিয়ম, সারা রাজ্যে কী অবস্থা, এই নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, দীপু বর তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। সৎ থাকার খেসারত দিতে তাঁকে পদ ছাড়তে হয়।  সেই নিয়ে যদিও দীপু বরের কোনও আফশোস নেই।