তরুণীকে মানসিক নির্যাতন! কাঠগড়ায় মহিলা বিডিও!

প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তার উপর মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ১৩ এপ্রিল জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন ওই তরুণী এবং বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
রেহানা খাতুন

রেহানা খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : রমজান মাসেই মুসলিম তরুণীকে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ খোদ মহিলা বিডিওর বিরুদ্ধে। সুবিচারের আশায় জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন তরুণী। মেদিনীপুর সদর ব্লক চত্বরে ব্লক প্রশাসন নির্মিত একটি স্টল ভাড়া নিয়ে কম্পিউটার দোকান করেছেন সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ুয়ার বছর ৩০-এর তরুণী রেহানা খাতুন। গত ৩ মাসের ভাড়া বকেয়া থাকার অভিযোগে মার্চ মাসের শেষে তাকে নোটিশ ধরানো হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে। কিন্তু, তরুণীর অভিযোগ, সমস্ত বকেয়া ভাড়া মেটানোর জন্য ৩১ মার্চ অবধি একাধিকবার বিডিও অফিস গিয়েও তাকে ফিরে আসতে হয়েছে। শেষমেশ গত ১১ এপ্রিল তিনি এই বিষয়ে বিডিওর সঙ্গে দেখা করতে যান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গেলেও বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র তার সঙ্গে দেখা না করে, প্রায় আধঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এমনকি, বিডিওর গেটের বাইরে থাকা নিরাপত্তা কর্মী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এরপরই, ক্ষুব্ধ তরুণী ওই নিরাপত্তা কর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কি বিডিও? আমি বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই।" তারপর, বিডিওর দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চান। এরপরই, রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসেন বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। ওই তরুণীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি এবং তাকে তার নিজের রুমের মধ্যে আটকে রেখে কোতোয়ালি থানায় ফোন করেন বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু, এর মধ্যেই প্রায় সন্ধে সাড়ে ৬ টা বেজে যাওয়ায়, তরুণী ওই দিন রোজা রেখেও সঠিক সময় রোজা ভাঙতে পারেননি। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তার উপর মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ১৩ এপ্রিল জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন ওই তরুণী এবং বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানান, ''এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।'' ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান জেলাশাসক।