নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। এখনও ন্যায়বিচার পাইনি তিলোত্তমা। তার সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে বহু মানুষ। সকলের একটাই সমবেত স্বর জাস্টিস ফর আরজি কর। সবাই চায় ধর্ষকের শাস্তি হোক। এই ঘটনার প্রথম থেকে অর্থাৎ একেবারে ৯ আগস্ট যখন মহিলা ডাক্তারের মৃতদেহ পাওয়া গেলো তখন থেকেই প্রশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দল সহ সবাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন টলিপাড়ার একাধিক তাবড় তাবড় অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। বাদ যায়নি বিরোধী দল। লালবাজার অভিযান করেছে তারা। ধর্ণামঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ করেছে তারা। সেখানেও পুলিশ তাদেরকে বাধা দিয়েছে। রাজ্যের যখন এমন অবস্থা তখন আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভা অধিবেশন। এই অধিবেশনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণ বিরোধী কড়া বিল আনতে চলেছেন। আজকের বিধানসভা অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, "দুর্ভাগ্যবশত, সরকারের একটি খুব ছোট হৃদয় রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চিকেন-হার্টেড। আজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য বিধানসভায় একটি শোকগ্রন্থ পেশ করা হয়েছিল। আমরা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আরজি কর থেকে আমাদের বোনের নাম সেখানে ছিল না। এটি সরকারের মনোভাবকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় এবং মুখ্যমন্ত্রী 'ফাঁসি, ফাঁসি' বলে চিৎকার করেন ও কপিল সিবালকে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড় করিয়ে দেন।
আরজি কর ঘটনার কন্যাকে সমবেদনা জানাতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় লাগত। বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং একটি ভিডিও শ্যুট করেন। তারা আমাদের বলেছেন যে যদি আমরা এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি তবে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমরা এটি পোস্ট করব। কারণ এই লড়াইটি সাসপেনশনের চেয়ে অনেক বড়। এই লড়াই সমস্ত 'অভয়া'-র জন্য। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সিন্ডিকেট এবং 'তোলাবাজি'-তে পারদর্শী। তারা অস্ত্রহীন বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।"