নিজস্ব সংবাদদাতা: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিল দিনহাটার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য মীর হুমায়ুন কবীর। পরবর্তীতে চাকরি দিতে না পারায় যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তারা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা দিনের পর দিন তাদের ঘুরিয়ে এসেছে এবং বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীকে তার নামাঙ্কিত ব্যাঙ্কের চেক দেয়। কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা সেই চেক ব্যাঙ্কে দেখালে ব্যাঙ্ক সাফ জানিয়ে দেয় চেক বাউন্স করেছে। অবশেষে টাকা ফেরতের মাধ্যম হিসেবে দিনহাটা দুই নং ব্লকের নয়ারহাটের তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য মীর হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে এসে টাকার দাবিতে জমায়েত করলো চাকরি প্রার্থীরা।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মীর হুমায়ুন কবীরের দাবি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। দিনহাটার কোনো বড় মাথার নির্দেশেই এসব হচ্ছে।
এদিকে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত হওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এ বিষয়ে অবশ্য মীর হুমায়ুন কবীর দাবী করেছেন গতকাল তার বাড়ির পাশে একটি বোমা ফাটায় দুষ্কৃতীরা। সেই খবর গতকাল রাতেই তিনি দলীয় নেতৃত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনকে জানান। তারপর আজ সকালে তিনি যখন স্কুলে যান তার পরে দলীয় নেতৃত্বরা তার বাড়িতে আসে খোঁজখবর নিতে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে চাকরির প্রার্থীরা যখন তৃণমূল নেতার বাড়িতে টাকা ফেরত এর দাবিতে জমায়েত ছিল সেই জমায়েতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের দিনহাটা ২ নং ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য সহ ব্লকের একাধিক তৃণমূল নেতাকে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তারা কেন সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসেছিল এ বিষয়ে সেখানে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যখন চাকরিপ্রার্থীরা টাকার দাবিতে যাচ্ছেন সেখানে তৃণমূল নেতাদের এই উপস্থিতি নিয়ে জেলা জুড়ে উঠছে প্রশ্ন?
অপরদিকে দিনহাটার অভিভাবক এবং বড়মাথা বলে মীর হুমায়ুন কবীর কি মন্ত্রী উদয়নকে নিশানা করলেন সে বিষয়েও উঠছে প্রশ্ন? অবশ্য এই সমগ্র ঘটনায় মন্ত্রী উদয়নের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।