নিজস্ব সংবাদদাতা: পাঁশকুড়া, ঘাটাল, খানাকুল, আরামবাগ সহ বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। কোথাও রয়েছে হাঁটু সমান জল, তো কোথাও রয়েছে হাঁটুর নীচে জল। কিন্তু সেই জল নামতে সময় লাগবে বলেই মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্তত প্রতিবছর চিত্রটা এরকমই থাকে। এই জলযন্ত্রণায় অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এর মধ্যেই শোনা গেল সেই অশনি সংকেত।
আশঙ্কা করায় হচ্ছিল। জোড়া ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্য জুড়ে যে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে তার প্রভাব পড়বে ডিভিসির ওপরও। ফের জল ছাড়তে পারে ডিভিসি। আর তাতে এই বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ফের গভীর সমস্যায় পড়বে। আর আজ সকালে ঘটলো তেমনটায়।
ফের জল ছাড়লো ডিভিসি। আজ সকালে মাইথন থেকে জল ছেড়েছে ১০ হাজার কিউসেক। আর দুর্গাপুর ব্যারেজ জল ছেড়েছে ৩৬ হাজার কিউসেক। সারাদিনের পরিস্থিতি দেখে ফের হইতো বিকেলের দিকে জল ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই জলের প্রভাব পড়তে চলেছে নীচু এলাকাগুলিতে।
আর এই খবর পেতেই আতঙ্ক বুকে দানা বাঁধছে ঘরহারাদের। কিছুদিন আগের বন্যাতেই ঘর বাড়ি সর্বস্ব হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। আর এবার ফের যদি নতুন করে প্লাবিত হয় এলাকাগুলি, তাহলে কি নিয়ে বাঁচবেন তারা? এই প্রশ্নই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকল ঘরহারাদের।