দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর: জীবিত ব্যক্তির নামের পাশে মৃত লেখার পর শেষে তার জন্য সাফল্য কামনা করে শংসাপত্র দিল ঘাটাল পুরসভা! চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে সরব নেটিজেনরা। পুরসভাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও।
শংসাপত্রের বয়ান অনুযায়ী, জীবিত ব্যক্তির নামের পাশে বসিয়ে দেওয়া হল লেট অর্থাৎ মৃত। পরে ওই ব্যক্তির জীবনের সাফল্য কামনা করে শংসাপত্র দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পুরসভা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই শংসাপত্র ভাইরাল হতেই চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা বলেন, ''ভুলবশত এটা হয়ে গিয়েছে,এই ধরনের ভুল আর হবে না।''
প্রসঙ্গত, ঘাটালের কোন্নগরের এক ব্যক্তি পুরসভায় গিয়েছিলেন তার নামে একটি শংসাপত্র নিতে। শংসাপত্র পাওয়ার পর তিনি দেখেন তার নামের পাশে মৃত লেখা রয়েছে। তারপরেই শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়। চেয়ারম্যান ট্রোলড হতে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া এমনই একটি শংসাপত্র ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতে দেখা গেছিল নেটিজেনদের। সেই শংসাপত্রে দেখা গিয়েছিল, প্রধানের প্যাডে সিল ও সই করা শংসাপত্রে মৃত ব্যক্তির জীবনের উন্নতি কামনা করা হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভুল শংসাপত্র দিয়ে বিতর্কে এবার ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান। যদিও ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা।আর যার সার্টিফিকেটকে ঘিরে এত বিতর্ক সেই সেখ মইদুল ইসলাম জানান,"একটি মসজিদে মোয়াজ্জেমের জন্য পৌরসভার সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়,আমি জীবিতই আছি।"আর পৌরসভার এহেন সার্টিফিকেট প্রদানকে ঘিরে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।এবিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ''পৌরসভার যে কর্মী ওই সার্টিফিকেটটি টাইপ করেছেন তার যোগ্যতা কত,তিনি কত টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন?'' ওই কর্মীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক।পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেন পৌরসভার চেয়ারম্যানকেও।