নিজস্ব সংবাদদাতা: রসগোল্লার জিআই ট্যাগ ঘিরে ওডিশার সঙ্গে বাংলার লড়াই যেন আজও স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল। সেই ঐতিহাসিক বিজয়ের পথ ধরে এবার আরও সাতটি বাঙালি পণ্য পেল ভৌগোলিক স্বীকৃতি বা জিআই ট্যাগ। তালিকায় রয়েছে রামকৃষ্ণদেবের প্রিয় কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, বারুইপুরের পেয়ারা, রাঁধুনি পাগল চাল, মালদার নিস্তারী সিল্ক, বাংলার নলেন গুড়ের সন্দেশ, মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া এবং বিষ্ণুপুরের মতিচুর লাড্ডু। মিষ্টি থেকে বস্ত্র, কৃষিজ পণ্য থেকে শিল্পকর্ম—সব মিলিয়ে বাঙালির স্বাদ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নিখুঁত স্বীকৃতি এই সম্মান।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, ঠাকুর রামকৃষ্ণ প্রথম কামারপুকুরে দুর্গাদাস মোদকের বাড়িতে সাদা বোঁদে খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বিষ্ণুপুরের মতিচুর লাড্ডু তৈরি হয়েছিল গোবিন্দের প্রসাদ হিসেবে, আর ছানাবড়া বানানো হয়েছিল ব্রিটিশদের খুশি করতে—মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর নির্দেশে। এ ছাড়া বাংলার নলেন গুড়ের সন্দেশ তো বাঙালির শীতকালীন মিষ্টির তালিকায় অবিচ্ছেদ্য। এর স্বাদে মেলে ঐতিহ্যের ছোঁয়া, যা গোটা বাংলা জুড়েই পাওয়া যায়।
/anm-bengali/media/media_files/mKPlI4URieBgjolpzg3d.webp)
এই জিআই স্বীকৃতির ফলে শুধু ঐতিহ্য নয়, আর্থিক লাভও ঘরে তুলবে বাংলা। সুগন্ধি রাঁধুনি পাগল চাল ও মালদার হলুদ রঙা নিস্তারী সিল্ক এবার আন্তর্জাতিক বাজারেও পরিচিতি পাবে। বাংলায় জিআই ট্যাগপ্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪-এ, আরও ১১টি পণ্য অপেক্ষায় রয়েছে স্বীকৃতির। এই সাফল্য শুধুই জি আই ট্যাগ নয়—এ যেন বাঙালির ঐতিহ্য, কৃতিত্ব ও সংস্কৃতির এক নিঃশব্দ জয়।