নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সুজিত কুমার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সবসময় আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেন। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকা পূর্ব ভারতের উন্নয়নে তিনি বরাবরই অত্যন্ত সক্রিয়। ওড়িশার প্রতি তাঁর বিশেষ টান রয়েছে। ২০৩৬ সালে ওড়িশা তার গঠনের ১০০ বছর পূর্ণ করবে। এটি কীভাবে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সে বিষয়ে তিনি সব সময় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে ওড়িশার উন্নয়ন দেখার জন্য। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।"
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন বহিষ্কৃত বিজেডি নেতা সুজিত কুমার। এছাড়া, সুজিত কুমার বিজেডি থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। দলবিরোধী কাজের জন্য আজ তাঁকে বহিষ্কার করেছে বিজেডি।
এক বিবৃতিতে নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন বিজেডি বলেছে, "বিজু জনতা দলের প্রতিনিধিত্বকারী রাজ্যসভার এমপি সুজিত কুমারকে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে দল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল, কালাহান্ডি জেলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তিনি হতাশ করেছেন।"
ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার সাংসদ সুজিত কুমার দলের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর বহিষ্কার বিজেডির অভ্যন্তরে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক বিকাশ চিহ্নিত করে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে লেখা পদত্যাগপত্রে সুমিত কুমার বলেছেন, তিনি 'সচেতনভাবে' এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে সুজিত কুমার লিখেছেন, 'জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উত্থাপনের জন্য আমাকে এবং আমার রাজ্য ওড়িশাকে সংসদে উত্থাপন করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার জন্য আমি এই বিরোধিতা করছি।'