১০ দিন পার, জলমগ্ন ডেবরা, ত্রাণ বিলি করলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

বন্যা কবলিত এলাকা।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
e

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডেবরাঃ ১০ দিন পার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের একাধিক গ্রাম এখনও জলমগ্ন। এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের খাজুরি, বিহারীচক, দামোদরচকসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এখনও সমস্যায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেখানে কোথাও এক হাঁটু তো আবার কোথাও এক গলা জল। বের হচ্ছে দূর্গন্ধ। জলে ভাসছে পচা মাছ। একরের পর একর চাষের জমি জলমগ্ন। কোথাও কলার ভেলা, তো আবার কোথাও জলের ড্রামকে নৌকা বানিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এই আবহে আজ এলাকাগুলিতে ত্রাণ সামগ্রি নিয়ে হাজির হন ডেবরা বিধানসভার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তার ডাকে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপারথিব ইসলাম লরি ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসেন। আজ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া।

এদিন ডেবরা ব্লকের এই এলাকায় কলার ভেলায় চড়ে জলবন্দি মানুষজনের কাছে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন বিধায়ক ডেবরার হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও, ডেবরা ব্লকের বীরসিংহপুর, পশ্চিম বৈতা, বাহাদুরপুর এলাকাতেও ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ডেবরার বিধায়কের উদ্যোগে। এলাকাবাসীরা জানান যে তারা বর্তমানে খুবই সমস্যায় রয়েছেন। ৭২ ঘন্টা হলো তারা পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় স্কুল জলমগ্ন, তাই স্কুলও ছুটি। কলার ভেলায় করেই চলছে নদী পেরিয়ে যাতায়াত। বন্যা পরিস্থিতির জন্য তারা জল নিকাশিকেই দায়ী করছেন। 

অপরদিকে বিধায়কও জানান যে, '' জল নিকাশীর কিছু সমস্যা রয়েছে। কচুরিপানা জমে থাকার কারণেও জল বেরতে পারেনা। রুপনারায়ণ নদীতে জল বাড়লেই সমস্যা শুরু হয়। যে তিনটি খাল আছে সেগুলিকে সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যে কিছুটা সমস্যা মিটবে। ''  তিনি নিজে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানিয়েছেন। অপরদিকে, ডিভিসির জল ছাড়াকে নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন।