বনদফতরের পদক্ষেপ! ফিরবে কি হুঁশ?

কাঠ চেরাই মিলের রমরমা! এবার মেশিন তুলে নিয়ে গেল খোদ বন দফতরের কর্মীরা। বার বার সতর্ক করার পরেও ফেরেনি হুঁশ। তাই কড়া পদক্ষেপ। এরপরেও কি ফিরবে হুঁশ? পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
vvv


দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : আগে দু'বার সিল করেছিল বন দফতর। তারপরও লুকিয়ে চলছিল কাঠ চেরাই মিল। অবশেষে গড়বেতা আদালতের নির্দেশে মেশিন তুলে নিয়ে গেল বন দফতর। ঘটনাটি বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা রেঞ্জের সাতবাঁকুড়াতে ঘটেছে। গত সপ্তাহে শনিবার চন্দ্রকোণার পাথরাতে এমনই একটি মিলের মেশিন তুলে নিয়ে গিয়েছে বনবিভাগ। তাতে অবশ্য নানা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বন দফতরকে।

 

bb

 বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগেও বনদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছিল ৷ কাঠ মিলের মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুমতি নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। পরিস্থিতি দেখে ফের অভিযান শুরু হয়। বিশেষ করে গড়বেতার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি ভাবে গাছ কাটার ঘটনায় তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হতেই অবৈধ কাঠ চেরাই মিলগুলিতে অভিযান চালানো হয়। বুধবার পুলিশের সাহায্যে চন্দ্রকোণা রেঞ্জের আধিকারিক তমাল কুমার মুখার্জির নেতৃত্বে অভিযান চালায় বনকর্মীরা। ক্রেন দিয়ে চেরাই মেশিন তুলে নিয়ে আসা হয় বন দফতরে। মিল মালিককে ধরানো হয়েছে আইনি নোটিশ। বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে, সাতবাঁকুড়াতে এক ব্যক্তি অবৈধ ভাবে কাঠ চেরাই মিল চালাচ্ছিলেন। এর আগে দু'বার সিল করার পর আদালতে মামলা হয়েছিল। বনদফতরকে বেগ পেতে হয়েছিল সিল করার পরে। তাই আদালতের রায়ে বুধবার দুপুরে অভিযান চালায় বন দফতর। তবে এবার আর সিল নয়, মেশিন তুলে নিয়ে আনা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুর বনবিভাগের এডিএফও শুভাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, "ওই মিলটির কোনো অনুমোদন ছিল না। এর আগে সিল করা হয়েছিল। এদিন আদালতের রায়ে মেশিনটি তুলে আনা হয়েছে। চন্দ্রকোণাতে এরকম দুটি মিলে মেশিন তুলে আনা হয়েছে। আনন্দপুরে একটি মিল সিল করা হয়েছে। লাগাতার অভিযান চলবে।"