কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হল দিল্লিতে

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের আধিকারিক জয়দেব মোড়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যর দিল্লি পুলিশের টিম দুর্গাপুরে আসে।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
asansol court

আদালত

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : সিম কার্ড জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার বীরভানপুর ও ডিপিএলের ক্ষুদিরাম কলোনি থেকে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পুলিশের হাতে পাকড়াও তিন যুবক।  ট্রানজিট রিমান্ড চেয়ে বুধবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দেয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। ধৃত দীপঙ্কর আঁকুরে, অনিকেস দাস ও অর্ঘ্য মজুমদারকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। 

সূত্রের খবর, ধৃত দীপঙ্কর আঁকুরে ও অনিকেস দাসের কাছে সিম কার্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চক্র চালাত অর্ঘ্য মজুমদার। এই দুটি সিম কার্ড থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ফোন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। 

১১  মার্চ  দিল্লিতে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয় দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানায় । প্রতারকদের বিরুদ্ধে ৪২০/১২০বি আইপিসি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের আধিকারিক জয়দেব মোড়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যর দিল্লি পুলিশের টিম দুর্গাপুরে আসে। সেই তদন্তের ভিত্তিতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকা থেকে তিন যুবককে গ্রেপ্তার হয়। এই চক্রের সাথে আরও অনেকে যুক্ত বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ। তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চায়নি দিল্লি পুলিশ। জামতারা গ্যাং-এর যোগসাজসে এই প্রতারকরা অপরাধ করতো বলে জানায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী সিদ্ধার্থ বসু।