দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : রাজ্য সড়কের বেহাল অবস্থা!প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।তাই এবার পুলিশের ক্ষোভের মুখে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারী সংস্থা।রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মানতে হবে সমস্ত বিধি নিষেধ তা না হলে দুর্ঘটনার দায় এবার পূর্ত দপ্তরকে নিতে হবে এক বৈঠকে জানিয়ে দিল পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের ক্ষীরপাই থেকে রামজীবনপুরগামী রাজ্য সড়কের বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় বেহাল দশা,কারণ রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আর সেই রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজের ক্ষেত্রে পূর্ত দপ্তরের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল এলাকাবাসী ও পথ চলতি মানুষ থেকে গাড়ির চালকেরা। অভিযোগ, ওই রাজ্যসরকের মধ্যে ক্ষীরপাই থেকে বামারিয়া, হেমতপুর ও বওড়া এলাকা পর্যন্ত রাজ্য সড়কের কাজের জন্য রাস্তার ধারে বড় বড় গর্ত করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই। গর্ত করে দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয়েছে।বালি দিয়ে কোন ফিলিং এর ব্যবস্থা নেই,নেই কোন সাবধানতা অবলম্বন।ঠিকাদারি সংস্থা রাস্তায় গর্ত করলেও পথ চলতি মানুষকে সাবধান করার জন্য ফিতে দিয়ে ঘেরার কোন ব্যবস্থা করেনি।রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ।জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পথচলতি মানুষ থেকে গাড়িচালকদের চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ ঠিকাদারি সংস্থাকে বারবার বললেও তারা থেকেছে উদাসীন। রাস্তা সম্প্রসারণ এর জন্য যে গর্তগুলি খোলা হয়েছে বৃষ্টির জলে গর্তে জমছে জল আর রাত হলেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।কখনো সেই গর্তে পড়ে যাচ্ছে পথ চলতি মানুষজন,কখনো বা ছোটখাটো প্রাইভেট কার উল্টে যাচ্ছে যাত্রী নিয়ে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবিতে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষজন।অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।এলাকার মানুষজনের দাবি, রাত হলে রাস্তা অন্ধকারে পরিণত হয়,রাস্তা অন্ধকারের কারণেই গর্তে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।এক কথায় রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে।উল্টো দিকে পূর্ত দপ্তরের কাজের ঢিলেমি ও অসাবধানতার ফলে ঘটা দুর্ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে বারবার এলাকাবাসীর বিক্ষোভের সম্মুখীন হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসন।তাই শুক্রবার বিকেলে ঘাটাল পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গোকুল দাস মালাকার সহ ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীদের নিয়ে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও অফিসে একটি বৈঠকের আয়োজন হয়।সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী,ক্ষীরপাই ফাঁড়ির আইসি গোবর্ধন সাউ সহ অন্যান্যরা।বৈঠকে পূর্ত দপ্তরের উদ্দেশ্য হুঁশিয়ারি পুলিশ প্রশাসনের,রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যাত্রী নিরাপত্তার দিকটি ঠিকাদারি সংস্থা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্ব না দিলে আইন অনুযায়ী পূর্ত দপ্তর বা ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় রাস্তা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে গর্ত করলে সাত দিনের মধ্যে তা ফিলিং করে দিতে হবে।রাস্তার কাজ চলাকালীন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলিতে জনগণকে সতর্ক করার ব্যাপারে ঠিকাদারি সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।পুলিশ প্রশাসনের থেকে কড়া বার্তা পেয়ে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকের সাফাই,রাস্তার ধারে থাকা গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে দেরি হচ্ছে তাছাড়া বর্ষার জন্য কাজে ঢিলেমি পড়ছে।আর রাস্তায় একাধিক গর্ত করে ফেলে রাখা নিয়ে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক জানান,বালির অভাবে ওই গর্ত ফিলিং করা ভর্তি করায় সমস্যা হচ্ছিল এখন তা পাওয়া যাচ্ছে দ্রুত কাজ হয়ে যাবে।"এখন দেখার পুলিশ প্রশাসনের থেকে কড়া হুঁশিয়ারি পেয়ে পূর্ত দপ্তরের কাজে গতি আসে কিনা!