নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই নবজোয়ার যাত্রা শেষের পথে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও এগিয়ে আসছে। ফলে লড়াই আসন্ন। কোচবিহার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মাত্র দুটো দিন। তারপরেই সমাপ্তি ঘটবে এই জনসংযোগ যাত্রার। জেলায় জেলায় রোড শো থেকে জন সংযোগ যাত্রা, মানুষের অভাব অভিযোগ শোনা থেকে তার সমাধান করা সবটাই করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এমনকি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যখন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজ্যে, তখন তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলায় না জড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিরোধী দলের প্রার্থীদের যদি মনোনয়ন আটকে যায় তাহলে সরাসরি জানাতে বলেছেন অভিষেক। প্রশাসনকে বলে মনোনয়নের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আবার প্রচণ্ড গরমেও মুখে হাসি রেখে পায়ে হেঁটে জনসংযোগ যাত্রা করেছেন তিনি। তবে, এবার দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায়। রক্ত দাতার ভূমিকায়। স্বাস্থ্য শিবিরে হেলথ চেক আপের পাশাপাশি আর পাঁচ জন রক্তদাতার মতোই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে রক্ত দান করলেন অভিষেক। নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন হাড় ভাঙা পরিশ্রম হলেও সরাসরি রক্তদাতার ভূমিকায় এর আগে দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদকে।
প্রসঙ্গত, নবজোয়ার যাত্রার অন্তিম লগ্নে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় তার কর্মসূচি ছিল জয়নগরে। ১৬ জুন নবজোয়ার যাত্রার সমাপ্তি ঘটার আগে রক্ত দান করতে দেখা গেল অভিষেককে। উল্লেখ্য যে জয়নগরের মজিলপুর পুরসভার পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল ওইদিন। নবজোয়ার যাত্রার কর্মসূচি শেষ করে রক্তদান শিবির পরিদর্শনে যান অভিষেক। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও মাপা হয় তার প্রেসার, ওজন। রক্তদাতাদের সঙ্গেও কথা বলেন অভিষেক। পরে নিজেই উদ্য়োগী হন রক্ত দানে। উক্ত রক্তদান শিবিরে প্রায় ৩০০-৩৫০ জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন।
প্রচণ্ড গরমে চারিদিকে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কগুলির ঘাটতি মেটাতে মাঝে মাঝে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মনে করা হয় যে রক্তদান অতি পুণ্যের কাজ। রোদের মধ্যে রোড শো করে, জনসংযোগ পর্ব সেরে সেই পুন্যের কাজই করলেন অভিষেক। রক্তদাতার ভূমিকায় অভিষেককে দেখে আপ্লুত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। রক্তদান শিবিরের আয়োজকরাও উচ্ছ্বসিত অভিষেককে তাদের শিবিরে পেয়ে।