নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষ্ণনগর কাণ্ডের তদন্তে আত্মহত্যার তত্ত্ব ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। গত বুধবার তরুণীর দগ্ধ দেহ পুজো মণ্ডপের কাছে উদ্ধার হয়। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল টাওয়ার লোকেশন বিশ্লেষণ করে বলছে, তরুণী সম্ভবত মণ্ডপের ভেতরেই অগ্নিদগ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দুর্গা পুজোর রান্নার জায়গা থেকে কেরোসিন নিয়ে আগুন দেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে কেরোসিনের গন্ধও শনাক্ত করেছেন।
কিভাবে তরুণী কেরোসিন পেয়েছিলেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তবে পুলিশ মনে করছে তিনি সহজেই তা পেতে পারেন। ঘটনার সময়সূচীও এই তত্ত্বকে সমর্থন করে; মঙ্গলবার রাত ৮ টা থেকে তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ওই এলাকায় ছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাকে রাত ৯ টায় কলেজ মাঠে ঢুকতে দেখেছেন।
মণ্ডপটি ঘেরা থাকায় ধোঁয়া বাইরে বেরোতে পারেনি, ফলে আশেপাশের বাসিন্দারা, যাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ মহিলা ছিলেন, ঘটনাটি জানতে পারেননি। তদন্ত চলাকালীন, পুলিশ আত্মহত্যার তত্ত্বের পক্ষে থাকা প্রমাণের উপর আত্মবিশ্বাসী।