নদীতে স্নান করতে নেমে জলের স্রোতে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর পড়ুয়া

চলছে উদ্ধার কাজ।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
e

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ডুলুং নদীতে স্নান করতে নেমে  জলের স্রোতে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ৮ জন বন্ধু মিলে টোটোতো চেপে ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিলকিগড়ে কনকদূর্গা মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিল। চিলকিগড় কনকদূর্গা মন্দিরে  ঘুরতে গিয়ে মন্দিরের পাশে থাকা ডুলুং নদীতে ৮ জন বন্ধু স্নান করতে নামে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে ডুলুং নদীতে জলের স্রোত থাকায় ওই ৮ জন অনেক দূর পর্যন্ত জলের স্রোতে ভেসে যায়। তবে ওই ৮ বন্ধুর মধ্যে সাতজন কোনওক্রমে ডুলুং নদী থেকে উপরে উঠে আসতে পারলেও ১৬ বছর বয়সী কুমার মাঝি নামে দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া ডুলুং নদীর জলের স্রোতে তলিয়ে যায়।

জানা গেছে তার বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের উত্তর বামদা এলাকায়। ঝাড়গ্রাম শহরের বাণীতীর্থ হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া ছিল কুমার। বিষয়টি জানার পর জামবনি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্কুল পড়ুয়াকে উদ্ধারের জন্য ডুলুং নদীতে ডুবুরি নামায়। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ডুলুং নদীতে নেমে ওই স্কুল পড়ুয়ার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে  শুক্রবার সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ শনিবার  সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফের উদ্ধারের কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই  স্কুল পড়ুয়াকে ডুলুং নদী থেকে উদ্ধার করা যায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

ডুলুং নদীতে তলিয়ে যাওয়া কুমার মাঝির বাবা মিঠু মাঝি বলেন, ''  স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে কুমার। পরে জানতে পারি সে স্কুল না গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে চিলকিগড়ে এসেছিল। কি করে যে এমন ঘটনা ঘটলো তা বুঝে উঠতে পারিনি। ''  উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে কুমার মাঝির বাবাসহ তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরাও রয়েছেন।