গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু স্কুল ছাত্রীর! এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া

গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সকালে স্কুলে ক্লাস করতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা সাইকেল চালিয়ে এসেছিল ওই ছাত্রী। স্বাভাবিক সবকিছুই ছিল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
e82fe6c1-b7a9-4f3b-9047-8abbc18a1271.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সকালে স্কুলে ক্লাস করতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা সাইকেল চালিয়ে এসেছিল ওই ছাত্রী। স্বাভাবিক সবকিছুই ছিল। প্রার্থনার জন্য যাওয়ার আগে ক্লাস রুমে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে সে। সহপাঠীরা শিক্ষকদের খবর দিলে ছুটে আসেন সকলে। মুহূর্তে নেতিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। যত দ্রুত সম্ভব  ওই ছাত্রীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় স্কুল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া দে। বাড়ি মুড়াকাটায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ খাটুয়া বলেন, "ক্লাসে বসে প্রার্থনাতে যাওয়ার জন্য সকলে যখন প্রস্তুত হচ্ছিল ওই সময় অস্বস্তি বোধ করে সে। বেঞ্চে বসে থাকা অবস্থায় তার অসুস্থতা বুঝতে পারে সহপাঠীরা। আমাদের খবর দিলে তাকে দ্রুত স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। সেখান থেকে জোশেফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই ছাত্রীকে মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।" পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "ওই ছাত্রী সমস্ত দিক থেকে সুস্থ ছিল। শারীরিক কোন সমস্যা ইতিপূর্বে আমরা দেখিনি। জানিনা কীভাবে হল।" পরিবারের তিন মেয়ে। বড় মেয়ে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছে। মেজ মেয়ে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পাপিয়া ছিল ছোট। তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পাপিয়ার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ছাত্রীর মৃত্যুর পর স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। ঘটনার খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই ছাত্রীর মা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একই ঘটনা ঘটেছিল পুরুলিয়া জেলাতে। সেখানে প্রচন্ড গরমের কারণে ছাত্র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। তবে এক্ষেত্রে এখনও সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা।

 tamacha4.jpeg