নিজস্ব সংবাদদাতা : ঝাড়গ্রামের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে, যা তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে নতুন ধারণা তৈরি করেছে। দীপ্র ভট্টাচার্য, যিনি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী এবং সহকর্মীদের কাছে বেশ কিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেই মেসেজগুলো থেকে জানা যায় যে, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং তার দাম্পত্য জীবন সুখকর ছিল না।
মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, "এখনই বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না, পুরোনো ঘা কাটিয়ে ওঠার আগে বিয়ে করেছিলাম," যা তার সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও, মেসেজে তিনি উল্লেখ করেন, "নোংরা পৃথিবী, অবিচার, অন্ধরা কিছু দেখে না," যা তার মানসিক চাপ এবং হতাশার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে।
গত বৃহস্পতিবার দীপ্রের স্ত্রী দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগ না পেয়ে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ভেঙে দীপ্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পাশেই ছিল একটি সুইসাইড নোট ও সিরিঞ্জ, যা আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেয়। পুলিশের তদন্তে মেসেজগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। দীপ্রের মৃত্যুতে তার সহকর্মী ও এলাকাবাসী শোকাহত, এবং ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবন এবং মানসিক চাপের কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।