নিজস্ব প্রতিবেদন : জলপাইগুড়ির দক্ষিণ খেরকাটা গ্রামে সুশীলা গোয়ালার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ১২ বছর বয়সী এই কিশোরী রবিবার বিকেলে বাড়ির উঠোনে খেলছিল, যখন চিতাবাঘটি আচমকা হামলা চালায় এবং তাকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, চিতাবাঘের হামলা ঘটার পর কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তারা চিতাবাঘটিকে তাড়া করতে থাকেন। তবে চিতাবাঘটি পালানোর সময় কিশোরীকে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, তার মৃত্যুর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।
ঘটনার পর বন বিভাগের কর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, এলাকায় বন্য প্রাণীরা প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে গবাদি পশু ও মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বারবার বন দফতরকে জানালেও কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যার ফলে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করেন, বন দফতরের অব্যবস্থাপনার কারণেই কিশোরী প্রাণ হারালেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এখন, নিহত কিশোরীর পরিবারের জন্য সাহায্য এবং নিরাপত্তার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। গ্রামের পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বন করছে।