নিজস্ব সংবাদদাতা, লাউদোহা: একদিকে কয়লা লোহা বালি চুরি নিয়ে যখন অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার, এসব বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ। ঠিক সেই সময়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাদারবুনি ৬ নম্বর কোলিয়ারির অদূরে ম্যাগাজিন হাউসের কিছুটা দূরে ফাঁকা পরিত্যক্ত জায়গায় মিলল বিশাল পরিমাণে কয়লার স্তুপ।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবৈধ কয়লা বালি পাচার নিয়ে ওঠে প্রশ্ন । পুলিশ প্রশাসনকে এই সমস্ত কারবার বন্ধ করার জন্য কড়া নির্দেশ দেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারীর পরই নড়েচড়ে বসলো পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন নড়ে চড়ে বসতেই যেখানে লোহা ও বালি চুরির দায়ে দুর্গাপুরের দুই তাবড় তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, ঠিক সেইখানে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে কয়লা চুরি যে অব্যাহত তার প্রমাণ মিলল। প্রায় কয়েক টন কয়লা সুন্দরভাবে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে ফাঁকা জায়গায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই এলাকায় এর বহুদিন ধরে এভাবেই চলে কয়লা চুরির চক্র। সব কিছু দেখেও পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। প্রশ্ন উঠছে লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও, পাশাপাশি ইসিএলের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাদের হাতে সেই সিআইএসএফেরও নজর কেন পড়ছে না? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ।
অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা রূপক পাঁজা জানান, লাউদোহা থানার বড়বাবু সব জেনেও মুখে কুলুপ এটেছেন। রূপক বাবু বলেন লাউ দোহা থানা এলাকায় বিগতদিনে চুরি বেড়েছে, এলাকায় একটা খুন হয়েছিল যার কিনারা আজও করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ এখন ঠিক করে দিচ্ছেন কোন জায়গায় কি রাস্তা হবে, যেটা রাজনৈতিক দলের ঠিক করার কথা। রূপক বাবু বলেন লাউদোহা থানার পুলিশ শুধু সেখানেই ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে যেখানে টাকার ভাগ আছে।