নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গাপুর পাথর খাদানে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুন করে দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষ রক্ষা। পুলিশের জালে অভিযুক্ত বন্ধু। পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হল দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের পারুলিয়া গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় পাথর খাদানে হাত-পা বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অনিল ভুঁইয়া নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
অনিলের মা সীতা ভুঁইয়ার দাবি, মৃত অনিল ভুঁইয়ার প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ ভুঁইয়া। সম্প্রতি দু'জনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। আকাশই অনিলকে খুন করেছে বলে অভিযোগ সীতা দেবীর। অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম ট্যাটু করে লেখা ছিল। তদন্তের ভিত্তিতে এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক উঠে আসে। অনিল ভুঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল আকাশ। সেই নিয়েই চলছিল অনিলের সাথে আকাশের বিবাদ। গত কয়েকদিন ধরে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভুল বুঝিয়ে অনিলকে আকাশ নিয়ে যায়। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতেই অনিলের হাত শরীরের পিছনে বেঁধে এবং দুটি পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে আকাশ ভুঁইয়া। তারপরেই অন্ডালের বহুলার দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত আকাশ। সেখান থেকেই বুধবার রাতে আকাশ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে বৃহস্পতিবার তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে ধৃতকে পুলিশে হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।