মহালয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই চলছে রেডিও সারানো, ভিড় ইলেকট্রিকের দোকানে

কাল মহালয়া।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
f

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোনাঃ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কমছে রেডিওর চাহিদা। বাড়ছে স্মার্ট ফোন, টেলিভিশনের ব্যবহার। তবুও মহালয়া শোনার জন্য আজও রেডিওতে কান পাতেন অনেকেই। তাই মহালয়ার আগের দিন রেডিও সারিয়ে নিতে ভিড় জমান রেডিওর দোকানে। হাতে আর কয়েকটা ঘণ্টা মাত্র বাকি। তারপরেই কাল মহালয়া, দেবী পক্ষের সূচনা হবে। তাই আজ চন্দ্রকোনার ইলেকট্রনিকের দোকানগুলিতে চলছে জোরকদমে রেডিও মেরামতের কাজ। 

স্মার্টফোন ও স্মার্ট টেলিভিশনের চাহিদা আর এসব ডিজিটাল মাধ্যমের দাপটে বর্তমানে হাতের মুঠোয় গোটা বিশ্ব। তার জেরেই একসময় মানুষের বাড়ি বাড়ি সমস্ত খবর থেকে বিনোদন পৌঁছে দেওয়া দাপটের সাথে চলা রেডিও আজ ক্রমেই বিলুপ্তির পথে। কারণ এই ডিজিটাল মাধ্যম আর মুঠোফোন। কিন্তু সারা বছর গৃহস্থের এককোণে চুপটি করে ধূলোবালি মেখে পড়ে থাকলেও, বছরের একটা সময় ধূলোময়লা ঝেড়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়ে একটা দিন অবশ্যই আজও সচল হয়ে ওঠে রেডিও। আর সেই দিনটি হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারদীয় উৎসবের এক সপ্তাহ আগে মহলয়ার ভোরে।

যুব সমাজের মধ্যে তেমন আগ্রহ না থাকলেও,আজও বয়স্ক মানুষেরা মহালয়ার আগে রেডিওর দোকানে ভিড় জমান রেডিও সারিয়ে নেওয়ার জন্য। মহালয়াতে রেডিওর মাধ্যমে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া পাঠ শুনতে শ্রুতি মধুর লাগে। তাইতো মহালয়ার আগে সেই রেডিও সারিয়ে নিচ্ছেন বয়স্করা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই,গোঁসাইবাজার,রেগুলেটেড মার্কেটের মতো বাজারগুলিতে থাকা ইলেকট্রনিক মেরামতের দোকানগুলিতে তাই অন্য কাজ ফেলে মেকানিকরা ব্যস্ত রেডিও মেরামতের কাজে। প্রত্যেক বছর মহালয়ার আগে চন্দ্রকোনার এই সমস্ত জায়গায় থাকা রেডিওর দোকানগুলিতে ভিড় জমান বয়স্ক মানুষের। কারণ এই রেডিও সারিয়েই তারা মহালয়া শুনবেন।

টিভির পর্দায় মহালয়া দেখার থেকে রেডিওয় কান পেতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া শোনায় আজও উদগ্রীব হয়ে থাকে বাড়ির বয়স্করা। রেডিও মেরামত কারিগরদের কথায়,বর্তমানে রেডিওর স্পেয়ার পার্টস মিলেনা,তাই রেডিওর কাজ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহালয়ার আগে বেশকিছু রেডিও আসে তা ঝেড়ে মুছে মেরামত করে দিতেই হয়। তাই এসময়টা দোকানগুলিতে অন্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতের কাজ দূরে সরিয়ে মহালয়ার আগে মেরামত করে রেডিও অনুরাগীদের হাতে তা তুলে দেওয়ার জোর ব্যস্ততা চলছে।

impac puja 2024