নিজস্ব সংবাদদাতা, রানীগঞ্জঃ দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনকভাবে স্কুল থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য খনি শহর রানীগঞ্জে। গত ১১ ই জানুয়ারি ওই ছাত্রী স্কুলে পৌঁছে ক্লাস করে। পেটে ব্যথার কথা জানিয়ে স্কুল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও নিখোঁজ ওই ছাত্রীর কোন খোঁজ না মেলায়, শেষমেশ ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা শনিবার নিখোঁজ ছাত্রীর খোঁজ দেওয়ার দাবি তুলে ও কেন ছাত্রী স্কুল থেকে কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে গেলেও, তার অভিভাবকদের কোন খবর দেওয়া হল না। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তারা স্কুল চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। বিষয়টি লক্ষ্য করে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, পুলিশের বিশেষ দল উপস্থিত হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি তারা স্কুল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে কোনরকম কোন তথ্য না পাওয়ায়, তাদের মেয়ের গতিবিধি সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা করতে পারছেন না। এমনকি তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাদের মেয়ে কোন দুর্ভোগে রয়েছেন। এমনই সব দাবি করে, তারা স্কুল চত্বরের বাইরে প্রথমেই বিক্ষোভ দেখান। পরে স্কুলের ভেতরে ঢুকেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও অন্য সব শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে, তাদের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয় নিয়ে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে, ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। অভিযোগ স্কুল চত্বরে কোন সঠিক দেখ-রেখের ব্যবস্থা না থাকায় ও স্কুল কমিটির স্কুলটিতে স্কুলটি সঠিকভাবে পরিচালনা না করায়, স্কুলের আশেপাশে বহু উপদ্রবিদের আনাগোনা রয়েছে। যা ওই সকল স্কুল ছাত্রীর ক্ষেত্রে, ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সকল নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তারা । আর তার সাথেই কি করে রহস্যময় ভাবে ছাত্রী, স্কুল শিক্ষিকাদের অগোচরে স্কুল ছেড়েছে তা নিয়েও তারা চান ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক। এদিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনার স্থলে, রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারী স্কুল অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন, একই সাথে এই ঘটনায় আইনি সহায়তা করার আশ্বাস দেন পুলিশ। তারা ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে কিভাবে দ্রুত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব, তা নিয়ে চালাচ্ছেন জোর তদন্ত।
এদিকে এই ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখানোর সাথেই অন্য সকল ছাত্রীদের যাতে এরূপভাবে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সে বিষয়টি দেখার জন্য দাবি করে তারা। এ বিষয়ে স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন, একই সাথে স্কুলে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত সাহায্য করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। একই সাথেই স্কুলে আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়টিতেও তিনি নজর দেবেন বলেই আশ্বাস দেন।