নিজস্ব সংবাদদাতা: ৫০-৬০ টি হাতির একটি বড়ো দল আড়াবাড়ি জঙ্গল থেকে গড়বেতার আঁধারনয়ন বিট হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রবেশ করে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটে। শনিবার দুপুর থেকে রাত অবধি হাতির পালকে নিয়ে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা বন দপ্তরের। শনিবার দুপুরের পর চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি জঙ্গলে অবস্থান করা হাতির পালটি দাপিয়ে বেড়ায় আশপাশের এলাকায়।
সন্ধ্যা নামতেই হাতির পাল একাধিক দলে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেড়ায় ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি, ধামকুড়িয়া, গোপীনাথপুর, রাজবাঁধ, আমশোল, ৩ নম্বর কলোনি এলাকার মাঠে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা হাতির পাল শনিবার রাতে মাঠ থেকে আধকাটা-রসকুন্ডু রাজ্যসড়ক পার করে পাশের চন্দ্রকোনার কামারখালী জঙ্গলে প্রবেশ করে। সেখান থেকে রাতেই হাতির পালটি দাপিয়ে বেড়ায় চন্দ্রকোনার যাদবনগর, ভগবন্তপুর লাগোয়া মাঠে।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এবছর এমনিতেই দেরিতে আলু চাষ হয়েছে।
সদ্য মাঠে আলু চাষ হয়েছে আবার কোথাও সদ্য আলু গাছ গজিয়েছে। তার উপর মাঠে রয়েছে সবজিও। এসময় এত সংখ্যক হাতির পাল একাধিক মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোয় চাষের ক্ষয়ক্ষতির বহর অনেকটাই বেশি দাবি এলাকার কৃষকদের।