নিজস্ব সংবাদদাতা: গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ৪১ জন বাংলাদেশী। জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত ছিলেন তারা। তবে নিজেদের মধ্যে রাখতেন সক্রিয় যোগাযোগ।
একদিকে যখন বাংলাদেশে চলছে অস্থিরতা, মোহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরেও অরাজকতার বিরাম ঘটেনি। ঠিক সেই মুহূর্তে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ৪১ জন বাংলাদেশীকে আটক করল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। কিন্তু এত জনকে একসাথে কিভাবে আটক করলো পুলিশ? তবে কি কোন রকম নাশকতা মূলক কাজে যুক্ত থাকার জন্যই সকলে মিলে জোট বেঁধেছিলেন? ধৃতরা এদিন ভগবানগোলা পার সাহেবনগর এলাকায় জমায়েত করেছিলেন।
জানা গেছে তারা কলকাতায় বেড়াতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ট্রেনে করে ভগবানগোলা স্টেশনে নেমে টোটো করে এলাকায় পৌঁছান। আগেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। ভগবানগোলার ওই নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই আবার নিজেদের দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার ছক কষে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক করা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
ভগবানগোলা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তারা রাজমিস্ত্রির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তবে হাসিনা সরকারের পতনের আগেই তারা এসেছিলেন এদেশে। গত দুই বছর ধরে চেন্নাইয়ের এক দালালের মারফত তারা ভারতে ঢোকেন। শুধু মুর্শিদাবাদেই নয় মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তারা। তবে বর্তমানে বেতন বৈষম্যে জেরবার ছিলেন তারা। সেই কারণেই দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে পড়তে হল ধরা।