নিজস্ব প্রতিনিধি: সবজি সহ আলুর অগ্নিমূল্যে হাত পুড়েছে গৃহস্থের। কেনও দাম বৃদ্ধি? তা জানতে বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। তাতে মহকুমা শাসক থেকে মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু তারপরেও আলুর দাম তো কমেনি উল্টে বেড়েছে। আলু ব্যবসায়ীরাও ধর্মঘট ডেকেছিলেন। তবে সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অভিযোগ পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু হিমঘরগুলিতে থাকলেও কালোবাজারি করছে ব্যবসায়ীরা। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, চাষিরা আলুর দাম ভালো পায় নি। প্রশাসন কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
যার ফলেই বাজারে সবজি সহ আলুর এই অগ্নিমূল্য। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে যতদিন বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক না হবে ততদিন পর্যন্ত ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি করবে মেদিনীপুর পৌরসভা। প্রত্যেকে দু-কেজি করে আলু পাবে। বৃহস্পতিবার পৌরসভার উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুর এলাকায় আলু বিক্রির জন্য স্টল খোলা হয়। ভিড় জমান বাসিন্দারা। সেখানে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু কিনলেন সাধারণ মানুষ। তবে খুব শীঘ্রই শহরের স্কুল বাজার এলাকায় আরো একটি আলু বিক্রির জন্য স্টল খোলা হবে।
পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, "যতদিন পর্যন্ত বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততদিন পৌরসভার স্টল থেকে আলু বিক্রি করা হবে। প্রত্যেককে দু-কেজি করে আলু দেওয়া হচ্ছে। এদিন কুড়ি কুইন্টাল আলু বিক্রি করা হয়েছে। স্কুল বাজারেও নতুন আরো একটি স্টল খোলা হবে। "অপরদিকে ওদিন ডেবরা ব্লক প্রশাষনের পক্ষ থেকে বালিচক এলাকায় সরকারি মুল্যে আলু বিক্রি করা হয়েছে। এদিন আলু কিনতে লম্বা লাইন লেগে যায়। এদিন ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হয়। প্রায় ৫০ কেজির বেশি আলু বিক্রি করা হয় এদিন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .