নিজস্ব সংবাদদাতা: একসময় পাঁচ বন্ধু মিলে জেদ করে শুরু করেছিলেন এই পুজো। আজ গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পাঁচ বন্ধুর এই পুজো বন্দিত হয়েছে। কথায় বলে আনলাকি থার্টিন। কিন্তু মালদহের হবিবপুরের বুলবুল চণ্ডীর পুজো সেই তথ্য মানেনা। একদিন দুইদিন বা পাঁচদিন নয় এই পুজো চলে ১৩ দিন ধরে। এটাই এই পূজার বিশেষ রীতি।
বিসর্জন হয় ১৪ তম দিনে। প্রায় ৪৯ বছর আগে পাঁচ বন্ধু মিলে একজোট হয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। যদিও তখন তেমন আরম্ভর ছিল না এই পুজোর। প্রথম বছর প্রতিমা আকারে ছিল অনেকটাই ছোট মাত্র সোয়া হাতের। উচ্চতা বাড়তে বাড়তে এই পুজোর প্রতিমার উচ্চতা পৌঁছে যায় ৪৮ ফুটে পরে অবশ্য স্থায়ী মন্দির তৈরি হওয়ায় এই পুজোর প্রতিমার উচ্চতা ৪২ ফুটে দাঁড়ায়।
প্রতিবছর এই পুজোর প্রতিমা হয় ৪২ ফুটের। এক সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করা হয় প্রতিমা। বংশের পরম্পরায় তিন পুরুষ ধরে এই পুজোর প্রতিমা গড়ে আসছে স্থানীয় পাল পরিবার। মৃৎশিল্পী ভেলু চরণ পাল দীর্ঘ বছর ধরে তৈরি করছেন এই প্রতিমা। এই পূজাতে নেই বলি দেওয়ার চল। পরিবর্তে মায়ের কাছে উৎসর্গ করার প্রথা রয়েছে।
পূজাকে কেন্দ্র করে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক মানুষের আয়োজিত হয় বিশাল মেলা। ভিড় হয় বিসর্জন দেখতে। কাঠামোর উপর ভর করে বাসের উপর দিয়ে গড়িয়ে অভিনব কায়দায় হয় এই বিসর্জন। আয়োজিত হয় বিরাট মেলা। উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম কালীপুজো বলতে এই আইহো বুলবুল চন্ডির পুজো বিখ্যাত। আজ হয়ে গেল এই পুজোর খুঁটি পুজো। পুরোহিত দিয়ে ঢাক বাজিয়ে পুরোনো রীতি-নীতি মেনে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুজোর সূচনা হল!