নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ ভারতীয় রেলে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দুর্গাপুর থানার ফরিদপুরের বাসিন্দা দয়াময় দাস, দীপক দাস, ভিড়িঙ্গি এলাকার সুনীল কুমার মাঝি, অনিমেষ মাঝি, বিধান কর্মকারের নামে একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ হয় দুর্গাপুর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ১ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শনিবার রাতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ফরিদপুর এলাকার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয় দীপক দাস নামে এক ব্যক্তিকে। মূল অভিযুক্তদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে পুলিশের। আজ রবিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, প্রায় ১ বছর আগে দুর্গাপুরের আমরাই এলাকার সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, বেনাচিতির নীলিমা দাসের কাছ থেকে ১২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ফরিদপুরের বরুণ চট্টোপাধ্যায়র কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই ব্যক্তিরা।
প্রতারিতদের অভিযোগ, পরীক্ষা দেওয়ার পরেই রেলের চাকরি মিলবে, এমন বলা হয়েছিল। কিন্তু টাকা নেওয়ার দীর্ঘ কয়েকমাস কেটে যাওয়ার পরেও দয়াময় দাসসহ বাকি অভিযুক্তরা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাননি। শেষমেষ কোনো উপায় না পেয়ে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনজনেই।
প্রতারিত নীলিমা পাল ও সুজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন," আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচিত ছিল দয়াময় দাস,অনিমেষ মাঝি,দীপক দাস, সুনীল কুমার মাঝি, বিধান কর্মকারের সাথে। সেই পরিচিতির সুযোগ নিয়েই আমাদের ছেলেদের ভারতীয় রেলের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেয়। বাড়ি বিক্রি করিয়েও টাকা নেওয়া হয়। বেশিরভাগ নগদ টাকায় নিয়েছিল তারা, অনলাইন মারফত কিছু টাকা নিয়েছিল। টাকা যাতে ফেরত পাই সেই ব্যবস্থাও করুক পুলিশ। সঠিক তদন্ত হলে এতদিনে সবাই ধরা পড়তো।আমরা চাইছি কড়া শাস্তি হোক মূল অভিযুক্তদের। "