নিজস্ব প্রতিনিধি, চিত্তরঞ্জন : ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে পশ্চিমবাংলার সীমানা এলাকায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষ্যে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তমের নির্দেশে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হলো চিত্তরঞ্জনের ডি এন্ড ডি বিল্ডিংয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর এই নির্বাচন ঘিরে রাজ্যের প্রশাসন সমস্ত নাকা চেকপোস্ট সহ বর্ডার এলাকা থেকে যাতে কোন অপরাধী প্রবেশ না করে অথবা অপরাধ করে বেরিয়ে যেতে না পারে তার জন্যে বিশেষ নাকা চেকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে এরাজ্যের পুলিশ ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশ প্রশাসনের এক বৈঠক হয়। যেখানে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) অভিষেক মোদি সহ উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের নলার এসডিপিও মনোজ কুমার রানা,নিরসার এসডিপিও পীতাম্বর সিং, মিহিজাম,জামতাড়া, চিরকুন্ডা,বিন্দাপাথর সহ আরো বিভিন্ন থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। এছাড়াও ছিলেন জিআরপির ডিএসপি উজ্জ্বল দাস,আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক শৌভনিক সেনগুপ্ত, এসিপি (কুলটি) সুকান্ত ব্যানার্জি, এসিপি হিরাপুর প্রতীক রায়, এসিপি স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঈপ্সীতা দত্ত, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত হাটি রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মইনুল হক,কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ উজ্জ্বল সাহা ,চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রাজু স্বর্ণকার সহ বারাবনি ও কুলটি থানার পুলিশের বিশেষ আধিকারিকেরা।
এদিনের এই বৈঠকে নির্বাচনের আগে সীমান্তবর্তী দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয় রেখে যাতে সমস্ত রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে লাগাম পরানো যায় সেই বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়।দুষ্কৃতকারীদের আন্তঃ রাজ্য যাতায়াত ঠেকাতে একাধিক নাকা চেকপোস্ট সক্রিয় করার কথা উঠে আসে।এছাড়াও দাগি অপরাধীদের তথ্য আদান প্রদানে যাতে দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী থানা গুলি যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে, সে বিষয়েও খুঁটিনাটি আলোচনা হয়।জানা গেছে, দুই রাজ্যের সীমানায় একাধিক নাকা চেকপোস্ট থাকছে । নাকা চেকপোস্ট সক্রিয় থাকছে চিত্তরঞ্জনে তিনটি, রূপনারায়ণপুর, রুনাকুড়া ঘাট, সালানপুরে দুটি, কল্যাণেশ্বরী, ডুবুরডিহি চেক পোস্ট এবং বারাবনিতে একটি। অনুষ্ঠিত এই বৈঠক দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো নিবিড় করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।