নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৮ র তুলনায় কমল মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার। আদালতে পরিসংখ্যান সহ হলফনামা পেশ করে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অতীতের ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতি, ভোটার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে স্পর্শকাতর এলাকা শনাক্ত করা হচ্ছে বলেও হলফনামায় জানিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া নিয়ে বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ উঠেছে। ভাঙড়, চোপড়া, মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁয় অশান্তির ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের নজর টেনেছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। স্ক্রুটিনি পর্বের পর কমিশন যে হলফনামা দিল তাতে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৮-র থেকে এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার এবার অনেক কম। সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যানও জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে।
শুধু তাই নয়, হলফনামায় আরও বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছে কমিশন। আদালতে তারা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি, অতীতের ঘটনা, ভোটার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি এই মর্মে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কমিশন।
অন্যদিকে, এই হলফনামা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এই সবই গল্পকথা। এগুলোর কোনও বাস্তবিকতা নেই। যদিও এই সবে কান দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। যা নিয়ে কমিশনকে ভৎসনা করেছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
বুধবার এক পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছে, ভয়হীন পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মানুষের যাতে আস্থা বাড়ে সেই কাজ করতে হবে।