নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক : এবারেও পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী মাতঙ্গিনী হাজরার নাতি। প্রতিপক্ষ তৃণমূল থেকে বিজেপি দলত্যাগী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত অঞ্চল প্রধান। ময়দান ছাড়তে নারাজ সিপিএম। একপ্রকার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ত্রিমুখী লড়াইয়ের শক্তিশালী তিন দল।অনেকেই বলেন, শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক মানেই বিপ্লবীদের ঘাঁটি। এক সময় তমলুক এক নম্বর ও তমলুক দুই নম্বর ব্লক হিসেবেই পরিচিত ছিল। তৎকালীন তমলুক এক নম্বর ব্লকের বিডিও মহম্মদ ইগলাক হোসেন তমলুক এক নম্বর ব্লক অফিসের নাম পরিবর্তে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণের প্রস্তাব পাঠায়। কারণ ব্লক অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মভূমি এবং কর্মভূমি। আর তারপরেই ১৯৯৮ সালে তমলুক এক নম্বর ব্লকের পরিবর্তে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক নামকরণ হয়। আর এবার ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বীর শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার শ্বশুর বাড়ির সম্পর্কের নাতি রাজেশ হাজরা। তবে এবার এই প্রথম তিনি রাজনীতিতে এসেচেন, তা নয়। বর্তমানে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ বাবুর। রাজেশ বাবুর বাড়ির অদূরে বিশাল আকৃতির মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। প্রতিনিয়তই বাড়ি থেকে বেরোলে মাতঙ্গিনী হাজরার পায়ে প্রণাম করেই ভোট প্রচার শুরু করেন।
অপরদিকে, বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী বামদেব গুছাইত। এলাকার উন্নয়ন ও দ্রুত কাজ করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিমা প্যাটেলের হাত থেকে উন্নয়ন মূলক পুরস্কার পান। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আর সেই কবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান বামদেব গুছাইত। এবারে বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী তিনি। বামদেব গুছাইত বলেন, ''২০১৮ সালে আমাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। সেই কবে আমি দল ছাড়ি, এই তৃণমূল আর করা যায় না। আমি যা উন্নয়ন করেছি গোটা শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মানুষ জানে। মডেল পঞ্চায়েত গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছি। আর সেই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাকে মানুষ ভোট দেবে।''