নিজস্ব সংবাদদাতা: আপাতত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে নিরস্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। পঞ্চায়েত প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের বিদ্রোহী নেতা।
মঙ্গলবার ডোমকলে মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচী থাকা সত্ত্বেও বহরমপুরে পৃথকভাবে সভা ডেকেছিলেন হুমায়ুন কবির। তার আগে রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন হুমায়ুন কবির। তবে একই সাথে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সুব্রত বক্সির সাথে কথা বলে নিজের কর্মসূচী বাতিল করে দেন তিনি। বলেন, ‘এখনই কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। অভিষেক বলেছেন কথা বলবেন’।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বলেন, “গতকাল রাত পর্যন্ত সভা করার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলাম। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীদা রাত ১০টার পরে আমাকে ফোন করে সভা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি আমাকে বলেছেন একই দিনে তোমার ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচী হলে জেলায় তৃণমূল কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে”।
তিনি আরও বলেন, ‘আমিও সে কথা বিবেচনা করে আজকের সভা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে জেলা নেতৃত্বকে সরানো হবে বলে কথা দিয়েছেন সুব্রত বক্সীদা। যদি না সরানো হয় তাহলে পরবর্তীতে আমিও আমার সিদ্ধান্ত জানাব’।
একই সাথে বলেন, ‘অভিষেক যাওয়ার জন্য বলেছেন কর্মসূচীতে। সুব্রত বক্সীও বলেছেন। কিন্তু যাওয়ার বিষয়ে এখনও কিছু জানাইনি’।
তাহলে কি এক ফোনেই মিটে গেল হুমায়ুনের ক্ষোভ? অবশ্য এক্ষেত্রে হুমায়ুন জানিয়েছেন তিনি ঠিক করেননি। তবে যুক্তি সঙ্গত দাবি রেখেছেন। তাঁর কথায়, ‘শাওনি সিংহ রায় মুর্শিদাবাদে ভোটে দাঁড়িয়ে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন। তারপর ওই বছরই তাঁকে সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ মাস ধরে তিনি ব্যর্থ। তিনি এখনও কমিটি করতে পারেননি। সবাইকে নিয়ে চলতেও পারেন না। আমার ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা তাঁকে হঠাতে হবে’। হঠানোর বিষয়ে তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থনও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এদিন।
এবার দেখার বিষয়, হুমায়ুনের এই দাবিকে দল কতোটা মান্যতা দেয়।